আফগানিস্তান-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে রাজি

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৫

চলমান শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ কমপক্ষে আরও এক সপ্তাহের জন্য সম্প্রসারিত করতে সম্মত হয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জন gokara। এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তুরস্ক এবং কাতার প্রতিনিধি সম্মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, শান্তি বজায় রাখতে একটি পর্যবেক্ষণ ও যাচাই ব্যবস্থা গঠন করা হবে, পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনকারী পক্ষের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ৬ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আরও এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলে চলতি সপ্তাহে ঘটা আলোচনা চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতেও এই আলোচনা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সকল পক্ষের সম্মতি রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে আফগানিস্তানে এই মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানকে দায়ী করে তালেবান সরকার একটি বিস্ফোরণের জন্য। এর ফলে দুই প্রতিবেশী দেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষ ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর এটি প্রথম বড় ধরনের উত্তেজনা।

পাকিস্তানি সেনা দাবি করেছে, সংঘর্ষে তারা দুই শতাধিক তালেবান যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। পাল্টা তালেবান সরকারের দাবি, পাকিস্তানি সৈন্যদের মধ্যে ৫৮ জনের বেশি নিহত হয়েছে।

অবস্থা সামাল দিতে ১৯ অক্টোবর দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, যা কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দোহার বৈঠকে সম্পন্ন হয়। তবে, দ্বিতীয় দফা আলোচনায় মতভেদে তা আরও অচল হয়ে যায়, মূল কারণ ছিল তালেবান শিবিরের মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব।

অপরদিকে, পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগান মাটিতে বসে তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) বিভিন্ন হামলা চালিয়ে দেশটিকে অস্থিতিশীল করছে। পাকিস্তান এই সংগঠনটির নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের দাবি জানালেও, তালেবান সরকার এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই এ ধরনের সংগঠনের ওপর।

আলোচনার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার আবারও আলোচনা পুনরায় এগিয়ে যায়। এ সময় দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিকে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য সম্মত হয়। তবে, পাকিস্তান এ বিষয়ে এখনো কোনও মন্তব্য করেনি।

অবশ্য, যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ থাকায় সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আফগানিস্তানের কান্দাহার ও চামান শহরের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তারা বলছেন, দুই দেশের এই অবস্থা তাদের ব্যবসা ও জীবনযাত্রার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। গাড়ির যন্ত্রাংশ ও বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ব্যয়-ক্ষতির সম্মুখীন, আর এই সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দুই দেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ।