২৬ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে রিশাদ, সুযোগ রয়েছে তাসকিন ও মোস্তাফিজেরও Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৫ বছর শেষ হতে চলেছে এবং এই সময়ের সাথে সাথে সবাই ব্যস্ত নিজের পারফরম্যান্সের মূল্যায়নে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই বছর বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয় হলো—লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন এখন পর্যন্ত এই সংস্করণে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি খেলোয়াড়ের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি যৌথভাবে ২৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন, তবে এর সাথে আরও কিছু বিষয় জড়িত। বিশেষ করতে গেলে দেখা যায়, শুধু টেস্ট খেলুড়ে দলের মধ্যে নয়, বরং আন্তর্জাতিক ধরণের সব দল মিলিয়ে এই বছর রিশাদ হোসেনের উইকেট সংখ্যা ২৬। তবে, পুরো বিশ্বজুড়ে সব দলের মধ্যে সেরা উইকেটশিকারির খাতায় স্থান হয়নি তার। এই ক্ষেত্রে প্রথমদিকে আছেন বাহরাইনের পেসার রিজওয়ান বাট, যিনি ২৯ ম্যাচে ৫০ উইকেট শিকার করেছেন। তারপরে আস্থার সঙ্গে তৃতীয় স্থানে আছেন অস্ট্রিয়ার পেসার উমাইর তারিক, যিনি ৩০ ম্যাচে ৪৮ উইকেট পেয়েছেন। অন্য এক অস্ট্রিয়ার পেসার আকিব ইকবাল ৩৬ ম্যাচে ৪৩ উইকেট নিয়েছেন। যদিও টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এই তালিকায় রিশাদের নাম দশম, তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই বছর তার উপস্থিতি অসাধারণ। প্রথম নয়জনই মূলত আইসিসির সহযোগী দেশের ক্রিকেটার, আর রিশাদ তাদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করেছেন। এই তালিকায় তাঁর চেয়ে সমান উইকেট সংগ্রহ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার, তবে হোল্ডার পাঁচ ম্যাচ কম খেলেছেন। ইনিংস ভিত্তিতে দেখা হলে রিশাদ ২১ ইনিংসে ২৬ উইকেট সংগ্রহ করেছেন, যেখানে হোল্ডার ১৭ ইনিংসে শিকার করেছেন ২৫ উইকেট। তবে ইকোনমি রেট এবং বোলিং গড়ের দিক দিয়েও রিশাদের পারফরম্যান্স আরও ভালো। আরও উল্লেখযোগ্য হল, এই বছর রিশাদের ওপর থাকছে আরও কিছু বোলার—পাকিস্তানের মোহাম্মদ নেওয়াজ, নিউজিল্যান্ডের জ্যাক ডাফি, জিম্বাবুয়ের রিচার্ড এনগারাভা, বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ—যারা এই তালিকার আরও উপরে ওঠার সম্ভাবনা রাখেন। নেওয়াজ ১৯ ম্যাচে ১৭ ইনিংসে ২৫ উইকেট, ডাফি ১৬ ম্যাচে ১৫ ইনিংসে ২৫ উইকেট, এনগারাভা ১৮ ম্যাচে ১৬ ইনিংসে ২৫ উইকেট এবং তাসকিন ১২ ম্যাচে ১২ ইনিংসে ২৪ উইকেট নিয়েছেন। মোস্তাফিজও ১৭ ইনিংস খেলে ২৩ উইকেট শিকার করেছেন। এই সম্ভাবনাময় বোলাররা তাদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে রিশাদের কাছাকাছি বা তার থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রাখেন। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই বছর আরও চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমানে সিরিজে এখনও একটি ম্যাচ বাকি। আগামী নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে রিশাদের পারফরম্যান্স আরও উন্নতির খাতা খোলার সুযোগ রয়েছে। চলমান সিরিজে রিশাদ ইতোমধ্যে দুই ম্যাচে তিনটি উইকেট নিয়েছেন, এবং সামনে আরও সম্ভাবনা চোখে পড়ছে। এভাবে আরও ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে রিশাদ হয়তো এই রেকর্ড আরো বাড়ানোর পথে। SHARES খেলাধুলা বিষয়: