মেয়েকে শেষবারের মত দেখতে হেলিকপ্টারে ছুটে এলেন আফ্রিকা প্রবাসী বাবা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে পানিতে ডুবে মারা গেছেন তিন বছর বয়সী শিশু আরওয়া। এই দুঃখজনক ঘটনায় বিশেষ Rückschlag অনুভব করেছেন বাবা ওসমান গনি, যিনি আফ্রিকা প্রবাসী। মেয়ের মৃত্যুর খবরে তিনি যেন ভেঙে পড়লেন, তারই দেখা মিলল যখন তিনি শ্রদ্ধা জানাতে মেয়ের শেষ দর্শনে হেলিকপ্টার যোগে ছুটে আসেন।

শুক্রবার বিকেলে গ্রামের গুণবতী স্কুল মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণ করতে দেখেন উপস্থিত সবাই। চোখে জল, হৃদয়ে শোক—সেখানে কেউ হৈচৈ করেননি, অথচ অনুভূতিতে ভরে উঠেছিল প্রতিটি হৃদয়। নিঃশব্দে, শোকের মূলে জড়িত হয়ে, সবাই অবিরাম কেঁদেছেন বা কাকুতি মিনতি করে সান্ত্বনা খুঁজেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওসমান গনি বাদল গত ১৫ বছর ধরে আফ্রিকায় ব্যবসা পরিচালনা করছেন। দেশে থাকা সময় তিনি তার মেয়ের জন্মের পর প্রথম ছয় সাত মাস পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন। সম্প্রতি, আগস্টে আবার বিদেশে ফিরে যান।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পুকুরে পড়ে যায় এই শিশুটি। পরিবার দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন, তবে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শোকের মাতম শুরু হয় তখনই। জানাজা ও মরদেহ দাফন শেষে, প্রবাসী বাবা রাতের ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরে যান। পরের দিন শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টারে করে নিজ গ্রামে পৌঁছে, মেয়ের শেষ বিদায়ে উপস্থিত হন।

তিনি নিজ হাতে মেয়ের দাফন সম্পন্ন করেন। এই দৃশ্য দেখেই সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি, পুরো এলাকা শোকের ছায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

ওসমান গনের বন্ধু মো. ইস্রাফিল বলেন, “ওসমান আরওয়াকে শেষবারের মতো দেখতে চেয়েছিলেন। এজন্য লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে মেয়ের মরদেহ রেখে দেওয়া হয়েছিল।”

ওসমান গনের ফুফা সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, “বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি রাতেই রওনা দেন, আর পরের দিন সকালের মধ্যে আমাদের গ্রামে এসে যোগ দেন।”