আমীর খসরু: নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন শিক্ষার ওপর জোর Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৫ বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের এখন পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নয়। আমাদের সামনে এগোতে হবে, আর তার জন্য দরকার শিক্ষা। তিনি বলেন, বড় বড় ব্রিজ, দালান-কোঠার চেয়ে বেশি প্রয়োজন শেখা-শিক্ষা। একজন সুশিক্ষিত জাতি থাকলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব। বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে রাবেয়া বসরি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে শিক্ষা খাতে। তাঁর ধারণা, উন্নত এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষাই মূল চাবিকাঠি। তিনি বলেন, এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রের উপর গুরুত্ব দিতে হবে ব্যাপকভাবে। আমীর খসরু নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশের অগ্রগতি অসম্ভব উল্লেখ করে বলেন, নারীদের সাথে নিয়ে দেশের উন্নয়ন চলবে। বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে আরও জোর দিতে হবে যাতে তারা স্বামীর ওপর নির্ভরশীল না হয় এবং নিজেদের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। তিনি বললেন, বিশ্বে প্রযুক্তির এই যুগে মেয়েরা যেন আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, তাহলেই তারা পিছিয়ে পড়বে না। তাই সবাইকে কম্পিউটার শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করতে হবে। তিনি বলেন, চাকরি, ক্রীড়া, সংস্কৃতি—সবখানে মেয়েরা দেখতে চান এবং তার জন্য প্রয়োজন উন্নত শিক্ষা। বিএনপির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারী শিক্ষায় অনেক অবদান রেখেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও তারেক রহমান এই ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগ নেবেন। আমীর খসরু আরও জোর দিয়ে বলেন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও শিক্ষার অংশ হতে হবে। এর জন্য আমাদের পূর্বের মতোই ভবন ও সুবিধা বাড়াতে হবে। তিনি মন্তব্য করেন, প্রতিটি স্কুলে ভবিষ্যতেও শ্রীঘ্রই আরও উন্নত অবকাঠামো নির্মাণে মনোযোগ দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি মো. শফিউল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান স্বপন, মঞ্জুর আলম, সাবেক কাউন্সিলররা আবুল হাসেম, জেসমিন খানম ও প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদসহ আরও অনেকে। শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও পুরস্কার তুলে দেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। SHARES রাজনীতি বিষয়: