ফিলিস্তিন বন্দির ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরাইলি জেনারেলের পদত্যাগ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৫ ফিলিস্তিনের এক বন্দির ওপর ইসরাইলি সেনাদের বর্বর নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। এর জের ধরে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর প্রধান আইনি কর্মকর্তা, মেজর জেনারেল ইফাত টোমার-ইয়েরুশালমি পদত্যাগ করেছেন। তিনি শুক্রবার (৩১ অগাস্ট) নিজের পদত্যাগপত্র দাখিল করেন এবং স্বীকার করেন যে, এই ভিডিও প্রকাশের অনুমতি তিনি ২০২৪ সালের আগস্টে দিয়েছিলেন। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এই ঘটনাটি প্রকাশের পর ইসরাইলের সেনাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। এই ঘটনা ব্যাপক হইচই সৃষ্টি করেছে দেশজুড়ে। ডানপন্থি রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষকরা তদন্তের ওপর সমালোচনা করে বলেছেন, এটি রাজনীতির স্বার্থে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, তদন্তের সময় সৈন্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যখন ঘাঁটিতে ঢোকার চেষ্টা করা হয়, তখন বিক্ষোভকারীরা দুটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এক সপ্তাহ পর ইসরাইলের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এন১২ এক নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায়, কয়েকজন সেনা এক বন্দিকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। তার চারপাশে কিছু সৈন্য দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তবে ভেতরের পরিস্থিতি বা ঘটনার বিস্তারিত ছবি স্পষ্ট নয়। বুধবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছিলেন, এই ভিডিও ফাঁসের ঘটনাটির পেছনে ফৌজদারির তদন্ত চলমান রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইফাত টোমার-ইয়েরুশালমিকে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পদত্যাগপত্রে ইসরাইলি এই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো আইনভঙ্গ করেননি। বরং, তিনি সেনাবাহিনীর আইন বিভাগটির মর্যাদা রক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধকালীন এই বিভাগের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচারের অভিযোগ ওঠায় তারা বাধ্য হয়েছেন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে। এর ফলে তিনি মনে করছেন, এই বিভাগটি বিভিন্ন দুর্ব্যবহার ও অপপ্রচারের শিকার হয়েছে। এই ঘটনা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা এবং ভাবনাচিন্তার উদ্রেক করেছে। SHARES জাতীয় বিষয়: