রাঙামাটির রাজবন বিহারে শুরু হলো কঠিন চীবর দানোর উজ্জ্বল উৎসব Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২৫ রাঙামাটির প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজবন বিহারে দুই দিন ব্যাপী ৪৯তম কঠিন চীবর দানোৎসবের আনন্দমুখর শুভ সূচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবন বিহারের বাইন ঘরের উদ্বোধন ও পঞ্চশীল গ্রহন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ধর্মীয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবীর, বিহারের আবাসিক ভিক্ষু সংঘসহ উপাসক-উপাসিকারা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য এই কঠিন চীবর দানোৎসব অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পরিচিত। দেশের শত শত পুণ্যার্থী ও বিদেশি দর্শনার্থীরা এই মহতী অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এটা মানা হয় যে, বৌদ্ধ ধর্মে দানের মধ্যে সবচেয়ে গৌরবময় ও সম্মানজনক দান হলো কঠিন চীবর দান। নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, এই দান কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা কাটা, রং করা, চীবর বোনা ও সেলাই করে ভিক্ষু সংঘকে সমপূর্ণভাবে দান করতে হয়। এই কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার কারণে একে ‘কঠিন চীবর দান’ বলা হয়। উদ্বোধনী দিন রাজবন বিহার চত্বরে প্রায় ২০০টি বেইন ঘরে চীবর তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি ঘরে চারজন করে মোট এক হাজারের বেশি নারী-পুরুষ এই মহৎ কাজে অংশগ্রহণ করছে। এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে পার্বত্যাঞ্চলের বিখ্যাত নারী উদ্যোক্তা ও বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত মঞ্জুলিকা চাকমা বিশেষ অতিথি হিসেবে বেইন উদ্বোধন করেন। রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিয় খীসা বলেন, ‘গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বছর আমাদের yeniden উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে এটি আয়োজন করেছি। আমরা সবাই মহাবোধি বুদ্ধের বাণীর আলোকে বিশ্ব শান্তি কামনা করি।’ উৎসবের পাশাপাশি স্থানীয় এলাকায় বসেছে একটি গ্রামীণ মেলা। দিনভর ভক্ত-দর্শনার্থীরা পূজা, প্রার্থনা ও অর্ঘ্য নিবেদন করে থাকছেন। দর্শনার্থীরা অসংখ্য স্থানীয় হস্তশিল্প, খাবার এবং ধর্মীয় সামগ্রী উপভোগ করছেন। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম জানান, ‘উৎসবকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে আছেন, যেন পুণ্যার্থীরা নির্বিঘ্নে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন।’ SHARES সারাদেশ বিষয়: