সোনাইমুড়ী নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২৫ সোনাইমুড়ী উপজেলার নির্বাচন অফিসে তার দায়ে নানা অস্বস্তিকর ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজন ভোটার এবং সরকারি কর্মচারী অভিযোগ করেন যে, নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব তার কার্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি, দুর্নীতি ও ঘুষ আদায়ের সঙ্গে জড়িত। মটুবি গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা তাসলিমা আক্তার, যিনি ছয় মাসের গর্ভবতী, তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এই অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে দেখা যায়। তিনি জানান, ২৮ অক্টোবর সকাল নয়টায় পিতার বাড়ির ঠিকানায় অনলাইনে ভোটার হতে গিয়েছিলেন। তবে নির্বাচন কর্মকর্তার রুমে প্রবেশের পর, তার কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে, তাকে ও তার বৃদ্ধ মা আলেয়া বেগমকে রুম থেকে বের করে দেয়। পুনরায় প্রবেশের সময়, অফিসার রেগে গালিগালাজ করেন। এই ঘটনায় মা-মেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। অপরদিকে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ড্রাইভার মনির হোসেন, যিনি বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি চালান, তার এক আত্মীয়ও ভোটার হতে আবেদন করেন। তার বয়সের ভুল তথ্যের কারণে তার আবেদন বাতিল হয়। পরে একজন স্থানীয়ের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভোটার হওয়ার চুক্তি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা আরও বলেন, বারগাঁও ইউনিয়নের পলাশের মতো অনেকে অনলাইনে ভোটার নিবন্ধনে ভুল তথ্য বা নানা অজুহাতে আবেদন বাতিল বা বিলম্বের সম্মুখীন হন। অভিযোগ রয়েছে, এই সব অনিয়ম ও হয়রানি মূলত উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার যোগদানের পর থেকেই বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা নানা অজুহাতে কাজের জন্য সময় নিচ্ছেন না, দরজা বন্ধ করে রাখছেন, জানালায় পর্দা দিয়ে থাকছেন, কখনো ভুল বা অসঙ্গত তথ্যের জন্য পাসপোর্ট বা অন্য জরুরি কাজেও বাধা হয়ে উঠছেন। ফলে, অনেক ভোটার ও নাগরিক জরুরি কাজের জন্য বাজে পরিস্থিতিতে পড়েছেন। অধিকাংশের অভিযোগ, এই অফিসে নতুন ভোটার তালিকায় যুক্ত করা, জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধন বা ভোটার স্থানান্তর করা যেন অসাধু উপায়ে টাকার বিনিময়ে হয়। ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা থেকে যোগদান করে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার এই অফিসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অফিসের দুর্নীতির মাত্রা বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। প্রবাসীরা তাদের ভোটার আইডি সংশোধন করতে গেলে নানা অজুহাতে কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন, এবং প্রত্যেকটি কাজের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা চাচ্ছেন। একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা কর্মচারী জানান, মায়ের সঙ্গে সন্তানের বয়সের অমিল থাকলে, সে আবেদনগুলো ড্রয়ারে রেখে দেয়া হয়। পরে নিরুপায় হয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিতেও দেখা যায়। অধিকন্তু, ঠিকানা স্থানান্তর বা তদন্তের জন্য অনেক সময়ক্ষেপণ করে থাকেন অফিসের কিছু কর্মকর্তারা, যার জন্য অনেক টাকা দিতে হয়। এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্ধ নাগরিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব বাংলাকে বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকেই কিছু সমস্যা সামলে চলছেন, তবে তিনি কোনো অনিয়মের স্বীকার নয়। অন্যদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেন, বেশ কয়েকজন নাগরিক অভিযোগ তুলেছেন যে, নির্বাচনী অফিসে হয়রানি ও দুর্নীতি হচ্ছে; আমরা বিষয়টি নজরে রাখছি। মো. সাদেকুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা, বলেন, যদি কেউ ভোটার হতে টাকাও হাতিয়েছে বা করার প্রমাণ থাকে, তাহলে তারা অভিযোগ করবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। SHARES রাজনীতি বিষয়: