প্রধান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দ্রুতই গণভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০২৫ আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, গণভোট কবে হবে, তার বিস্তারিত সিদ্ধান্ত খুব দ্রুতই গ্রহণ করা হবে। তিনি এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে এবং এই সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র বিরোধ যুদ্ধরত, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার হাতে থাকায় দ্রুত ফলাফলের জন্য আশাবাদী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পরে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে সরকারীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিভ্রান্তি ও বিরোধ মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার। আমরা তাঁর নেতৃত্বে থাকব এবং সহায়তা করব। এই সিদ্ধান্ত কেউ এককভাবে নেবে না, এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই।’ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ জমা দিয়েছে। এই সুপারিশ অনুযায়ী, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট সংগঠিত হবে, যেখানে নির্বাচনের আগে বা তার দিন গণভোট সম্পন্ন করার প্রস্তাব রয়েছে। বরং জামায়াতে ইসলামীর দাবি, এই গণভোট আগে করে জুলাই সনদকে আইনি বৈধতা দিতে হবে এবং তার ভিত্তিতে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে বিএনপি এইিখানে বলছেন, নির্বাচনের দিনই গণভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। এর বাইরে অন্য কোনো এজেন্ডা মানা হবে না। জুলাই সনদের বাস্তবায়নের সুপারিশের বিষয়ে বিএনপি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, এই সনদে অন্তর্ভুক্ত না থাকা অনেক বিষয় এখানে যুক্ত করা হয়েছে। অধ্যাপক আসিফ নজরুল এই পরিস্থিতিতে গণভোটের বিভিন্ন রাজনৈতিক আলোচনার ব্যাপারে বলেন, দলগুলোর অব্যাহত অনৈক্য সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আরো ২৭০ দিন আলোচনা করার পরও যখন দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক দলের বক্তব্য এক নয়, সেটা হতাশাজনক। এই বিরোধের কারণে সরকারের জন্য একটা কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রশ্ন হচ্ছে, এতো আলোচনার পরও দলগুলো কি সত্যিই এককভাবে নিজেদের অবস্থান রাখছে, না কি এখনো তাদের মধ্যকার যথেষ্ট ঐক্য তৈরি হয়নি? যদি তারা নিজেরা ঐক্য না দেখায়, তাহলে সরকার কি করতে পারে?’ অ্যাসিফ নজরুল মনে করেন, এই উচ্চ বিরোধের কারণে ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথমেই নির্বাচন করবো এবং সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছে। নির্বাচনের জন্য সরকার প্রস্তুত, প্রয়োজন অনুযায়ী সব কিছুই করা হবে, তবে এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য অপরিহার্য।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সংসদ যদি সংস্কার না হয়, তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে সব কিছু পরিচালিত হবে। সরকারের পক্ষে যতটুকু সম্ভব সব কিছুই করবে, তবে সেটার জন্য দলগুলোর ঐক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ SHARES জাতীয় বিষয়: