उत्तर কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ট্রাম্পের দক্ষিণ কোরিয়া সফর শুরু হওয়ার আগে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ায় আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় উত্তর কোরিয়া পশ্চিম ইয়োলো সাগরে একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে উড়ে দে দৃঢ়তার সাথে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে আঘাত হেনেছে।

বুধবার উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টোকিও থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি একটি শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেবেন এবং ঐতিহাসিক শহর গিয়াংজুতে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করবেন।

কেসিএনএ জানিয়েছে, এই নতুন অস্ত্র উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক-সশস্ত্র সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এই পরীক্ষার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনও তথ্য নিশ্চিত করেনি।

উত্তর কোরিয়ার উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা পাক জং চোন এই পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি নতুন ডেস্ট্রয়ার চো হিওন ও কাং কনের নাবিকদের প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করেন। কিম জং উন নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য এই জাহাজগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।

গত সপ্তাহে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার পর, এটি ছিল উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ উৎক্ষেপণ। এই পরীক্ষায় নতুন হাইপারসনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা দেশটির পারমাণবিক যুদ্ধজোটের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানের সময় কিম জং উনের সঙ্গে এক বৈঠকের সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এই সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন।

২০১৯ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে উত্তর কোরিয়া ওয়াশিংটন ও সিউলের সঙ্গে আর কোনো আলোচনা হয়নি। বর্তমানে কিমের বিদেশনীতি রাশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে; ইউক্রেনে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে, এবং পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন শীতল যুদ্ধের কৌশল অনুসরণ করছে।

উত্তর কোরিয়া একবার আবারো বলেছে, মার্কিন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের দাবির কোনও মূল্যই নেই, যতক্ষণ না তা প্রত্যাহার করা হয়, তারা পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে আলোচনা করবে না।