ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ থেকে কাপড় নামানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, আহত ৮ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বুধবার বিকেলে এক দুঃখজনক দুর্ঘটনায় ছাদ থেকে কাপড় নামানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আটজন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাতজন শিক্ষার্থী ও একজন আয়া রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে শহরের ভাদুঘর এলাকার দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসায়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ছাদ থেকে কাপড় নিচে নামাতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে ঝেড়ে ওঠে কাপড়টি, যা সরাসরি আয়া আলেয়া বেগমের হাতে ধাক্কা দেয়। তিনি জানালা দিয়ে স্টিলের একটি পাইপ দিয়ে কাপড়টি নামানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সেই সময় তারে স্পর্শ করে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এই স্পৃষ্টের ফলে মাদ্রাসার ভেতরে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে, যা অগ্নিকাণ্ডের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অপর দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে রয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন—নবীনগর উপজেলার তালগাটি গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে নুসরাত (১০), সিরাজগঞ্জ জেলার আবু সাইদের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (৬), সদর উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে রওজা আক্তার (১২), ভাদুঘর এলাকার কবির হোসনের মেয়ে নুসরাত (১১), একই এলাকার কাবির মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৮), কসবা উপজেলার শিমরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে উম্মে তাইসান (৫) এবং মাদ্রাসার আয়া আলেয়া বেগম (২২)। মাদ্রাসার ক্বারি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, ভবনের চতুর্থ তলার কাছ থেকে কাপড় পড়ে যায় এবং তারে আটকে যায়। এই সময় আয়া আলেয়া জানালা দিয়ে একটি স্টিলের পাইপ দিয়ে কাপড়টি নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু সেই সময় তারে স্পর্শ করে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সবাই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিম খান বলেন, আটজন বার্ন রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, বাকিরা চিকিৎসাধীন। অপর দিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আজাহারুল ইসলাম বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোন রিসিভ করেননি। সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুর রেজা বলেন, ‘মূলত এই ঘটনায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে’। পুলিশ ও প্রশাসন বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। SHARES সারাদেশ বিষয়: