বাহনযোগ্য বিশুদ্ধ মধু: ‘হ্যানি স্যাচেট’ বাজারে এনেছে কৃষি

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২৫

বাংলাদেশের উদীয়মান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘কৃষি’ নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মধুর দুনিয়ায়। সম্প্রতি তারা আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিল ‘হ্যানি স্যাচেট’ নামে একটি অভিনব মধু প্যাকেজিং পদ্ধতি, যা মধু উপভোগকে আরও সহজ, ঝামেলামুক্ত ও কার্যকর করে তুলবে। এই উদ্ভাবন মূলত সাধারণ মানুষের জন্য খুবই উপযোগী, যারা প্রতিদিনই নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর মধু ব্যবহার করতে চান।

অনুষ্ঠানে ‘কৃষি’ তাদের মিশনের কথা তুলে ধরে, যেখানে তারা মনে করে বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, কৃষক ও কৃষিজমি তার মূল স্তম্ভ। কয়েক বছর ধরে তারা নিশ্চিত করেছেন যে সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য তারা গ্রামীণ উপকরণ দিয়ে পুষ্টিকর খাবার তৈরিতে ব্রতী। তাদের লক্ষ্য—শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, যেন প্রত্যেক মানুষ প্রতিটি মুহূর্তে গ্রামবাংলার নিরাপদ কৃষি পণ্যের স্বাদ ও গুণমান উপভোগ করতে পারেন। আধুনিক জীবনধারার প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে তারা এসব খাবার তৈরি করে আসছে।

নতুন এই আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে ‘হ্যানি স্যাচেট’। এটি যেমন সহজ, তেমনি সুবিধাজনক—বোতল বা জটিল প্যাকেজিংয়ের বদলে, ছোট্ট এই স্যাচেটটি খুব সহজে ব্যাগ বা টিফিনবক্সে রাখা যায়। ফলে যে কোনো সময় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর মধু খাওয়া সম্ভব হয়। এই প্রোডাক্টের ফলে মধু সাধারণ খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে, যা সব বয়সের মানুষের জন্যই উপকারী এবং শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল, অতীশ দিপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মিহির লাল সাহা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এমডি. কাইয়ুম হোসেন এবং অন্যান্য দেশসেরা গবেষক, ডাক্তার ও পুষ্টিবিদরা। তাঁরা হ্যানি স্যাচেটের সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করেন।

বাংলাদেশের মধু বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মোহাম্মদ মইনুল আনোয়ারও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বক্তব্যে বলেন, আমাদের জন্য নিয়মিত মধু খাওয়া জরুরি, কিন্তু ভেজালমুক্ত ও মানসম্পন্ন মধু নিশ্চিত করা দরকার। তিনি আরও বলেন, ভেজাল মধুর পরীক্ষা হিসাবে প্রচলিত আগুন, পানি বা পিপড়া পরীক্ষাগুলো বিজ্ঞানসম্মত নয়; এগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া।

উপস্থিতisseurs এই ইভেন্টের সমাপ্তি ঘোষণা করে ‘কৃষি’ জানায়—‘হ্যানি স্যাচেট’ কেবল একটি পণ্য নয়, এটি আমাদের খাওয়ার অভ্যাসে অশেষ পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এই নতুন উদ্ভাবন কৃষির মিশনকে আরো বেগবান করবে—সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য পৌঁছে দেবে। প্রোডাক্ট ও কোম্পানির মিশনের বিস্তারিত জানতে সব ক্রেতাদের অনুরোধ করা হয় কৃষির ওয়েবসাইট ভিজিট করার।