সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার আধুনিকায়নে ৪,২০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায়

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২৫

দেশের রেলওয়ে খাতে এক গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী পদক্ষেপে, নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি বিশাল ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় কারখানার উপকারখানা সম্প্রসারণ, প্রযুক্তির আধুনিকরণ ও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের অর্থায়নে সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) একটি প্রতিনিধিদল গত মঙ্গলবার কারখানার বিভিন্ন কার্যক্রম ও অবকাঠামো পরিদর্শন করে। এই পরিদর্শনে নেতৃত্ব দেন সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর এডিবি উইং প্রধান এস এম জাকারিয়া হক এবং এডিবির কনট্রিরি ডিরেক্টর হুই ইউন জিওং।

কারখানা পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ, কর্মব্যবস্থাপক (ডাব্লিউএম) মমতাজুল হকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এডিবি প্রতিনিধিদল কারখানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন বগি ও ওয়াগন শপ, ক্যারেজ কনস্ট্রাকশন শপ ঘুরে দেখেন এবং পরে তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

সেখানে আলোচনা হয় কারখানার বর্তমান পরিস্থিতি, চ্যালেঞ্জ, সম্ভাব্য উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিশদ বিবরণ। ডিএস শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ জানান, এই প্রকল্পে দুটি উপকারখানা সম্প্রসারণ, আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন এবং উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিশাল অংকের অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এডিবির প্রতিনিধিরা এই প্রকল্পে অর্থায়নের সম্ভাব্যতা পর্যবেক্ষণ ও সমর্থন দেন এবং দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপের আশ্বাসও প্রদান করেন।

তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ও অবকাঠামো ব্যাপকভাবে উন্নত হবে। এটি দেশের রেলওয়ে শিল্পে স্বনির্ভরতা বাড়াবে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন রেলওয়ে ওয়ার্কশপ হিসেবে এর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে কারখানাটি পুরোনো যন্ত্রপাতি দিয়ে রেল কোচ ও বগির রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। আধুনিকায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এটি এক পূর্ণাঙ্গ রেল ইঞ্জিনিয়ারিং কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।