নেইমারকে কোথায় দেখবেন—সান্তোস না ইন্টার মায়ামি? Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২৫ নেইমার আবারও ক্যারিয়ার নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মুখোমুখি। তার সামনে দুটি মূল বিকল্প দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমটি হলো বর্তমান ক্লাব সান্তোসে থেকে অব্যাহত রাখা, যেখানে তিনি একসময় তার শৈল্পিক ফুটবল দিয়ে সকলের মন জয় করেছিলেন। দ্বিতীয়টি হলো মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়া, যেখানে তার কাছের বন্ধু লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজ এখন খেলছেন। অনেকে মনে করেন, ফুটবলপ্রেমীরা অবশ্যই ইন্টার মায়ামিতে নেইমারকে দেখতেই বেশি আগ্রহী হবেন। সেখানে আবার ফিরে যাবার মাধ্যমে দেখা যাবে ‘এমএসএন’ আক্রমণত্রয়ী—মেসি, সুয়ারেজ ও নেমার—একসঙ্গে মাঠে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাকে ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে দেখতে হবে এবং সেটা এই বছর শেষ হওয়ার আগেই করতে হবে। গত জানুয়ারিতে নেইমার তার পুরোনো ঠিকানা সান্তোসে ফিরে আসেন। তবে ফিরতেই নানা চোটের কারণে মাঠে নিয়মিত থাকতে পারেননি। ক্লাব ও জাতীয় দলে নানা চোট তাকে অস্থির করে তুলেছিল। এর ফলস্বরূপ, সৌদি আরবের আল হিলাল তাকে ছেড়ে দেয়, যেখানে তিনি একচ্ছত্র ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ছিলেন। এরপর ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার ব্রাজিলে ফিরে যান। তবে ঘরের মাঠেও সুখ পাননি তিনি। বর্তমানে তার ক্লাব সান্তোস অবনমন এড়ানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, নেইমারও মাঠে খুব একটা নিয়মিত নন। তার আবার হ্যামস্ট্রিং চোট রয়েছে, যার কারণে এতদিন তিনি পুরোপুরি फिट হতে পারেননি। ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে পরিচিত এই তারকা ফুটবলার আরও একবার বিশ্বকাপের শিরোপা আসর—যেখানে আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো একত্রে আয়োজন করবে—চমক দেখাতে চান। স্পোর্টস দৈনিকের খবরে এমনটাই বলা হয়েছে যে, নেইমার সম্ভাবত পরবর্তী দলবদল উইন্ডোতেই এমন কোনো দল খুঁজছেন, যেখানে আবার আলোচনায় ফিরতে পারেন। এর মাধ্যমে ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি তার গুরুত্ব বুঝিয়ে দিতে চাইছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে নতুন সমস্যা হলো, ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো এখন তার দিকে ফিরে তাকাচ্ছে না। স্পোর্টের খবরে বলা হয়েছে, “ইউরোপীয় ফুটবলের দরজা আপাতত নেইমারের জন্য বন্ধ”। ফলে বার্সেলোনা ও প্যারিস সেন্ট জার্মেইর সাবেক তারকা ফরোয়ার্ড হয়তো আর পুরোনো মঞ্চে ফিরতে পারছেন না। বাস্তবতাও এখন এমন—নেইমার যত মাঠে থাকেন, চোটের জন্য কম সময় থাকেন না। অনেকের মত, তার শেষ সময় এসে গেছে। আল হিলালে খেলার সময় থেকে আসলে চোটই তার বড় অশুভ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চোটের কারণেই তিনি মাঠে নিয়মিত থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন। এখন তো ইউরোপের দরজা বন্ধ, তাই নেইমারের সামনে শুধু দুটি পথ—এক, সান্তোসের সঙ্গে আরও ছয় মাসের নতুন চুক্তি; দুই, মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেওয়া। সেখানে তিনি এমএলএসে খেলার স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন। কারণ, এখানে জীবনযাপন সহজ, তার উপর আছে খ্যাতি ও বিনোদনের ঝলক। আর এর অন্যতম বড় আকর্ষণ—লিওনেল মেসি। সম্প্রতি ইন্টার মায়ামির সঙ্গে তিনি তিন বছরের নতুন চুক্তি করেছেন। তার একই স্প্যানিশ বন্ধু লুইস সুয়ারেজও এখন মায়ামিতে। সব মিলিয়ে, আবার পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে নেমে খেলার ভাবনা নেইমারকে বেশ আকর্ষণ করছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “মেসি এবং সুয়ারেজের সঙ্গে আবার খেলতে পারলে দারুণ হবে। তারা আমার বন্ধু। এখনো আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। এই ত্রয়ী যখন আবার মাঠে দেখা যাবে, তখন সেটা অনেক কিছুই বদলে দিতে পারে।” সময়ই বলবে, নেইমার সবচেয়ে শেষ কি সিদ্ধান্ত নেন। তবে যেকোনো পথ থাকুক না কেন, তার নাম ফুটবল ইতিহাসের এক উজ্জ্বল, অস্পষ্ট, তবু অবিস্মরণীয় কাহিনীর অংশ হিসেবেই থাকবে—এক উজ্জ্বল তবুও অসমাপ্ত অধ্যায়। SHARES খেলাধুলা বিষয়: