বাকৃবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অপ্রতিকর ছবি পাঠানোর অভিযোগ

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গোপনে নারী শিক্ষার্থীদের অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলে এক সিনিয়র ছাত্রের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুসারে, ওই শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে মেয়েদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে তার এক সিনিয়র সহপাঠীর কাছে পাঠাতেন। বিষয়টি যখন প্রকাশ পায়, তখন সোমবার বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং বিভাগীয় শিক্ষক ও অনুষদের ডিনের কাছে এই সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানায়। ঘটনাটি তদন্তের জন্য ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর), শিক্ষার্থীরা ডিনের সঙ্গে বৈঠক করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থী দেবশ্রী দত্ত সম্প্রতি ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তিনি যে ছবি গ্রাফ করছিলেন, তিনি নিজেও একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে কর্মরত। অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থী স্বীকার করেছেন অভিযোগের সত্যতা। ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ বলেন, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে এসেছে। আমরা মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে প্রমাণ পেয়েছি যে, সে বিভিন্ন ছবি তুলত এবং তা এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাত। বর্তমানে সেই মোবাইল ডিন অফিসে সিলগালা অবস্থায় সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টির তদন্তে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটিকে অবগত করা হবে। অপরদিকে, অভিযুক্ত সিনিয়র শিক্ষার্থী ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির লেকচারার অপরাধের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে কথাবার্তা চালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যে ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না, তবে আমি আমার কাজে অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি সেগুলো মেনে নিব। সহপাঠীরা জানায়, ইনটার্নশিপের সময় তারা ওই শিক্ষার্থীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে নজরদারিতে রাখেন। তারা নিশ্চিত হন যে, তিনি মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলতেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরে তারা বিভাগীয় শিক্ষকদের জানায় এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায়।