ভোটার হওয়ার জন্য ঘুষের দরকার? : জালিয়াতি আর দুর্নীতির অভিযোগে নির্বাচন অফিসে অরাজকতা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২৫

সোনাইমুড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনী অফিসে। অভিযুক্তরা হলো স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তার অসাধুপায় ও দুর্ব্যবহার, পাশাপাশি বোঝাপড়া করে অর্থের বিনিময়ে জাল ভোটার কার্ড তৈরি করার চেষ্টাও চলেছে। স্বজন, পরিচিত বা প্রতারকদের মাধ্যমে অনেকের জন্মনিবন্ধনের ত্রুটি দেখিয়ে বা অন্য অজুহাতে নিরীহ মানুষের वोटার্শিপের ফর্ম জমা দেওয়া হলেও তাদের কাজ আদৌ হয় না। এই নিয়ে সাধারণ ভোটার ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। উপজেলার নাগরিকরা অভিযোগ করছেন, অভিযুক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব বেশ কয়েক বছর ধরে এ সংক্রান্ত দুর্নীতির সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠলেও কেউ সেগুলোর যথাযথ তদন্তের দাবি করছেন।

অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন অফিসে ঢোকা থেকে শুরু করে ভোটার কার্ড পাওয়া পর্যন্ত নানা ধাপে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। কেউ যদি অপ্রত্যাশিত কিছু সমস্যা বোঝায় বা অনিয়মের অভিযোগ করে, তবে তাঁদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়।ের কেউ কাগজপত্র ঠিকঠাক জমা দিলেও কাজ হয় না, আবার কারো ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময়ে দ্রুত কাজের আশ্বাস দেওয়া হয়। বিশেষ করে, নোয়াখালী, ফরিদপুরের মতো বিভিন্ন জেলার প্রবাসী ও স্থানীয় ভোটারদের কাছ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে যে, এখানকার নির্বাচনী কর্মকর্তারা টাকা নিয়ে ভোটার কার্ড সংশোধন, নতুন ভোটার যোগদান, বা স্থানান্তর করার নামে অর্থ আদায় করেন।

অভিযোগের আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি, বিভিন্ন সভা-সমিতি ও সেবা কেন্দ্রে প্রমাণ ছাড়াই বিভিন্ন অজুহাতে সেবা থেকে বঞ্চিত করা এবং অপ্রয়োজনীয় ঘুরানো অব্যাহত রয়েছে। এই দূর্নীতির সংবাদ পেয়ে নাসরিন আক্তার নামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিছু অভিযোগের তদন্তের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে, এই পরিস্থিতিতে সাধারণ ভোটাররা উদ্বিগ্ন, তাদের ভোটার হালনাগাদ, সংশোধন এবং নতুন ভোটার কার্ড লাভের জন্য দীর্ঘ সময় ও অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়, যা তাদের জন্য অনেকটাই ঝঞ্ঝাটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অপরদিকে, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা এই বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়ে বলছেন, যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে কোনও নির্বাচন কর্মকর্তা টাকা নিচ্ছেন, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, অভিযোগের ভিত্তিতে কতটা কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে বিষয়ে সবাই অপেক্ষা করছেন। এই পরিস্থিতি নিরাপদ ও স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।