চরাঞ্চলে স্বাস্থ سہেবায় স্পর্ধিত ভোগান্তি চরবাসীর Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৫ কুড়িগ্রাম জেলার বৃহৎ অংশজুড়ে রয়েছে বেশ কিছু চর এলাকা। এই চরাঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী মানুষজনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এখন এক বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। নদী পার হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্র্যাভেল করে তাদের যেতে হয় উপজেলা বা জেলা শহরের হাসপাতালে, যা তাদের জন্য এক বিশাল কষ্টের বিষয়। এই জেলার মোট আয়তন ২২৪৫ বর্গকিলোমিটার এবং এখানে বাস করছে প্রায় ২৩ লাখ ২৯ হাজার মানুষ। নদী অধ্যুষিত এই অঞ্চলে সূচক সংখ্যক নদীর অববাহিকা জেগে রয়েছে ছোট-বড় ৪৬৯টি চর, যেখানে প্রায় ২৬৯টি চরই বাসযোগ্য। এই বড় আকারের চরাঞ্চলগুলোতে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখের কাছাকাছি। তবে দুর্ভাগ্যবশত, অধিকাংশ চরই এখনো সম্পূর্ণ অপ্রতিরোধ্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে বিচ্ছিন্ন। সরকার কিছু কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করলেও প্রায় অনেক চরবাসীর জন্য সে সুযোগ এখনো অধরা। অধিকাংশ চরই এখনো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ থেকে বঞ্চিত। ছোট ছোট রোগের জন্যও চরবাসীকে নদীপথ পাড়ি দিতে হয়। গর্ভবতী নারীদের জন্য অনেক সময় নির্ভর করতে হয় স্থানীয় ধাত্রীদের ওপর, কারণ দ্রুত জরুরি চিকিৎসার জন্য তারা হাসপাতালে যেতে পারে না। সূত্র অনুযায়ী, কমিউনিটি ক্লিনিকের দৃষ্টিতে, এই সুবিধাগুলোর অভাবজনিত কারণেই চরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ, সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার কালির আলগা চর এলাকার বাসিন্দা হোসেন আলী বলেন, ‘আমাদের চরে প্রায় ৭০০ জন রয়েছে। একমাত্র কেন্দ্রীয় কোনও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ছিল, সেটিও নদীভাঙনে ধ্বংস হয়ে গেছে। চরের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় নৌপথে প্রথমে নৌকা বা পাড় through করবেন এরপর অটোরিকশায় করে উপজেলা বা জেলা শহরে যেতে হয়।’ একইভাবে, রাজারহাটের বিদ্যিনন্দ ইউনিয়নের চরে বাস করেন আবদুল আজিজ, যিনি তার স্ত্রীর অসুস্থতার সময় ঘোড়ারোহণে করে নদী পার হয়ে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছানোর গল্প বলেন। এছাড়াও, উলিপুর, রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চরাঞ্চলেও একই রকম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য এই চরগুলিতে জীবনঘ خطر এখন প্রকট। অনেক ক্ষেত্রেই নানা বিপদ ও ঝুঁকির মধ্য দিয়ে সন্তান প্রসব করতে হয় তাদের। সন্ধানী রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝুনকার চর এলাকায় এক কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও আশপাশে বেশ কয়েকটি চরবাসীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা টেকসই নয়। সেখানে একজন স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী এবং একজন কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার রয়েছেন। তবে প্রসব বা জরুরি চিকিৎসার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। জেলা পর্যায়ে মোট ২৯৫টি গ্রাম্য ক্লিনিকের মধ্যে চরাঞ্চলে মাত্র ৫০টি ক্লিনিক থাকতে দেখা গেছে, যার মাঝে কিছু নদীভাঙনের কারণ আহত বা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তথ্যমতে, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে, তবে প্রয়োজনীয় এগিয়ে থাকা অনেক দীর্ঘ পথ বাকি। SHARES সারাদেশ বিষয়: