সিরাজগঞ্জের ধর্ষণের প্রধান আসামি নাইম হোসেন গ্রেপ্তার

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৫

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের মামলার প্রধান আসামি নাইম হোসেনকে (২০) কেন্দ্র করে আলোচনা তুঙ্গে। দীর্ঘদিন ধরেই মামলার এই মূল আসামি পলাতক থাকলেও শেষ পর্যন্ত র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) তাকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর মামলার অন্য ছয়জনের মধ্যে চারজন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‌্যাবের একটি যৌথ অভিযান চলাকালে, গত বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে, র‌্যাব-১২ ও র‌্যাব-১১-এর কর্মকর্তা-te দল জিয়ারকান্দি এলাকার তিতাস থানার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

নাইম হোসেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে, র‌্যাবের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তার এই তথ্য জানানো হয়। উপঅধিনায়ক মো. আহসান হাবিব জানান, ধর্ষণের মামলার পর থেকে নাইম পলাতক ছিল। পরে প্রযুক্তির সাহায্যে তার অবস্থান শনাক্ত করে কুমিল্লার তিতাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯ অক্টোবর, উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের এক সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ওই কিশোরী মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার সময় ছয় যুবক তাকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নেয়। এরপর জামতৈল সেন্ট্রাল পার্কের পাশে ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। অন্য আসামিরা সাউন্ডবক্সে উচ্চ স্বরে গান বাজিয়ে লজ্জার বিষয়টি ঢাকতে চেষ্টা করে। এই নির্মম হামলায় কিশোরীর জ্ঞান হারিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অস্ত্রোপচার শেষে তার অঙ্গ পুনর্বাসন করা হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ করে ছয়জনের নাম জানা যায়; এদের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় তিন জনকে। এই ঘটনায় পরবর্তীতে আরও তদন্ত চালানো হচ্ছে।