শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ১৩ নভেম্বর ঘোষণা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৫

জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৩ নভেম্বর।

গত বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল-১-এর নেতৃত্বে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারসহ তিন সদস্যের 법ডিৱিশন এই যুক্তিতর্কের সমাপ্তি করেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডন শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম তাদের শেষ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। আদালত উভয় পক্ষের কাছ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের আর্জি জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে সমাপনী বক্তব্য দেন স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী আমির হোসেন।

এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও আসামি ছিলেন। তবে তিনি নিজে দোষস্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসাবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলার ধারাবাহিকতায় প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ ও মঈনুল করিম। পঞ্চদশ দিনের দীর্ঘ যুক্তিতর্কে তারা ১৯৭১ পরবর্তী আওয়ামী লীগের ইতিহাস, শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামল (২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত), গুম-খুন ও হত্যাকাণ্ডসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন। এই সময়ের বিভিন্ন তথ্য ও উপস্থাপনাও করেন।

মামলার মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং জেরার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় ৮ অক্টোবর। এর আগে, ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান কামাল ও চৌধুরী মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগের মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, যা মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। মামলার সাক্ষীদের সংখ্যা ৮১ জন। গত ১২ মে এই মামলার প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে জমা দেওয়া হয়।