বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বাজার: বিডা চেয়ারম্যান Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ১:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৫ বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে পরিচিত। এই উন্নত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টি উজ্জ্বল করে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। তিনি এই কথা বলেন মঙ্গলবার সিউলে একটি বিশেষ বিনিয়োগ সেমিনারে, যার নাম ছিল ‘গেটওয়ে টু গ্রোথ: ইনভেস্ট ইন বাংলাদেশ’। এই অনুষ্ঠানে মূল ভাবনাগুলো তুলে ধরা হয় দেশের সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ পরিবেশের দারুণ অগ্রগতি। সেমিনারটি আয়োজিত হয় বাংলাদেশ দূতাবাস, ফেডারেশন অব কোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (এফকেআই) ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায়, যেখানে অংশ নেন ১৫০টির বেশি কোরিয়ান উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে পঞ্চম বৃহত্তম বৈদেশিক বিনিয়োগকারী দেশ। এখানে টেক্সটাইল, জুতা, ইলেকট্রনিকস ও অটোমোবাইলের মতো বিভিন্ন খাতে ১৫০টির বেশি কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান প্রায় ১.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগ সেমিনারে বিডার এক অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা আশিক চৌধুরী বলেছিলেন, “এখনই বাংলাদেশের সঙ্গে কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের অংশীদার হওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। সরকার দেশে বিনিয়োগ আনতে নানা সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই সবাইকে।” বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, “বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সম্ভাবনাময় বাজার। জনসংখ্যা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে।” প্রসঙ্গে সেখানে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনাকারী কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট মিন-সুক লি। তিনি জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান গত চার দশকে বাংলাদেশে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, পাশাপাশি ৩০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন দ্রুতগতিতে ওঠার একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।” এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত তৌফিক ইসলাম শতিল বলেন, “বিডা এবং সরকারের সাহসী সংস্কারমূলক পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন বিনিয়োগের এক কেন্দ্রবিন্দু। আমরা কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের এই উত্তরণের অংশীদার হতে আহ্বান জানাচ্ছি।” উল্লেখ্য, এই পাঁচ দিনের কৌশলগত সফরে বিডা ছাড়াও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যাংকখাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন। সেমিনার শেষ হওয়ার পরে, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা কোরিয়ায় শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম, সংসদ সদস্য এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নেতাদের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন। এছাড়া, প্রবাসী কোরিয়ান ব্যবসায়ীরা ও একাডেমিক ব্যক্তিদের সঙ্গে বিশেষ গোলটেবিল বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে। SHARES অর্থনীতি বিষয়: