বিতর্কিত উপদেষ্টাদের নির্বাচনের আগে সরে যেতে হবে: আমীর খসরু Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৫ অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিতর্কের কারণে নির্বাচনকে অস্পষ্ট করা হচ্ছে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, যেহেতু আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসছে না, তাই সরকারকে শিগগিরই কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। বিএনপির এই নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের উন্নতি সম্ভব। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই একটা সুন্দর নির্বাচন হবে যাতে একটি ভালো পরিবর্তন আসে। যারা এখন সরকারে আছেন, অধ্যাপক ইউনূসের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মান করি, ওনাদের স্বাধীনভাবে যেতে হবে। কিন্তু কিছু লোকের কার্যকলাপের কারণে তা বিঘ্নিত হতে পারে। এজন্য আমি বলছি, পুরোপুরি কেয়ারটেকার সরকারের মুডে যেতে হবে, যেখানে বিতর্কের অভিযোগ থাকা ব্যক্তিরা থাকতে পারবেন না। তারা থাকলে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল চরিত্র সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে—মূলত এই সরকারই আগামীর নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে। সংবিধানের নির্দিষ্ট চরিত্র অনুযায়ী তাদের অবশ্যই সব কর্মকাণ্ডে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। আমীর খসরু বলেছেন, সরকারের ভেতর-বাইরে যারা নিরপক্ষতা ভঙ্গ করার সুযোগ পায়, তারা থাকলে নিরপেক্ষতা রক্ষা সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু উপদেষ্টা সরকারের বিভিন্ন পদে প্রভাব বিস্তার করে থাকেন, যার ফলে তাদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়ে। তাই, যারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের থাকতে দেওয়া হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হবে। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব ও চরিত্র স্পষ্ট উল্লেখ থাকায়, তিনি উল্লেখ করেন যে, এই সরকার শুধু পরবর্তী নির্বাচনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবে এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে হবে। আমীর খসরু দৃঢ়ভাবে বললেন, নির্বাচন সফল ও নিরপেক্ষ হতে হলে প্রথম শর্ত হলো নিরপেক্ষতা। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর ধরে এই লড়াই চালিয়ে এসেছি—একটি সত্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে। নিরপেক্ষতা না থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, আর অন্ধকার শক্তিগুলোর প্রভাব জোরদার হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। আলোচনা সভায় বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীও বক্তব্য রাখেন। SHARES জাতীয় বিষয়: