নিরপেক্ষতার রূপরেখা নিয়ে সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৫ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে বিএনপি ৩৬ দফার একটি বিস্তারিত রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে। এই প্রস্তাবনাগুলোর উপর আলোচনা করতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক করবে দলের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। দলের নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এই প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেবেন। দলটির সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এই ৩৬ দফার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়। বিএনপির মূল প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলো যারা বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে, তাদের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের পরবর্তী নির্বাচনে দায়িত্ব দেয়া হবে না। একইসঙ্গে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারটি প্রতিষ্ঠানের (ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল এবং ইবনে সিনা) কর্মকর্তাদের নির্বাচন সম্পর্কিত কোনো দায়িত্বে রাখা হবে না বলে দাবি করেছেন দলটি। বিএনপি বলছে, এসব কর্মকর্তাদের নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। অন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো হলো—অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব: নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। আর প্রশাসনিক রদবদল প্রসঙ্গে বলেছে, মাঠ প্রশাসন (ডিসি, ইউএনও, এসপি, ওসি, কমিশনার) সবাইকে পুনর্গঠন করে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োগ দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি প্রভৃতি কার্যক্রমও স্থগিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যাতে নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া, বিগত স্বৈরাচারি আমলে দায়েরকৃত মামলাগুলোর প্রত্যাহার এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের প্রস্তাবও রয়েছে। এছাড়া, নির্বাচনের পুর্বে প্রতিটি জেলায় অভিযোগ কেন্দ্র চালুর কথাও বলা হয়েছে, যেখানে সকল অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। বিএনপি সরকারের উপদেষ্টাদের কার্যক্রমকে বিতর্কিত বলে মনে করে, যাতে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। বিশেষ করে, গত বছর সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু উপদেষ্টার পক্ষপাতমূলক আচরণ ও দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই অবস্থায়, বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে একটি সাক্ষাৎ করেন, যেখানে তাকে শত্রুতা মুক্ত, নিরপেক্ষ সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবগুলো সরকারের নিকট তুলে ধরার মাধ্যমে নির্বাচনী পরিস্থিতির উন্নতি ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের লক্ষ্যে এগোতে চায় বিএনপি। SHARES জাতীয় বিষয়: