১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠালেন ট্রাইব্যুনাল

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী গুমের একাধিক মামলার বিষয়ে ঘোরতর পদক্ষেপ নিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এই ট্রাইব্যুনাল দেশটির বিভিন্ন সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই কর্মকর্তা ও অভিযোগের বিবরণে বলা হয়, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নানা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে হেফাজতে ছিলেন বলে জানা গেছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় এই আদেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী, তারা এখন কারাগারে থাকবেন এবং পরবর্তী শুনানির জন্য অপেক্ষা করবেন।

কারাগারে নেওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম, কে এম আজাদ ও কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)। এছাড়াও থাকছেন র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মো. সারওয়ার বিন কাশেম, মো. রেদোয়ানুল ইসলাম এবং বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।

অতিরিক্তভাবে, ডিএফআই-র তিন সাবেক পরিচালক—মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী—ও এই তালিকায় থাকলেও তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এই মামলার পরবর্তী শুনানির পরিতৃপ্তির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। অন্যদিকে, গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরায় গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন নির্ধারিত হয়েছে।

প্রক্রিয়াজাতের অংশ হিসেবে সকালে, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এই কর্মকর্তাদের প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সকাল সোয়া ৭টার দিকে তাদের প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে থানায় রাখা হয়।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনদ kéoালে দেশের বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এঁরা বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগের সম্মুখীন। বিশেষ করে, টিএফআই-জেআইসি লেভেলে গুম ও খুনের মামলাগুলোতে সামরিক ও গোয়েন্দা বাহিনী সংশ্লিষ্ট ৩৪ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫ জন এখন হেফাজতে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে এবং পরবর্তী সময়ে বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হবে।