নির্বাচনে সততা ও সাহসের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান ইউএনওদের

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাংলাদেশে ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করেছেন নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) প্রস্তুত থাকতে এবং কোনো পক্ষের পক্ষে কাজ না করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনাররা। তাঁদের মতে, এই নির্বাচন যেন সম্পন্ন হয় নিখুঁত এবং স্বচ্ছভাবে, এজন্য অস্তিত্বের প্রশ্নে হিম্মত ও সাহসের সঙ্গে কাজ করতে হবে ইউএনওদের।

বুধবার (২২ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে দুর্বার ভাষণে এসব কথা বলেন নির্বাচনের কেন্দ্রীয় কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও সদস্য আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তাঁরা বলেন, স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ইউএনওদের সততা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে, কারো পক্ষপাতিত্ব আশা করা যায় না। ইসি মনে করে, এই নির্বাচনকে আরও কার্যকর ও সফল করতে আগে থেকেই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনায় সরকারের পক্ষ থেকে সুযোগ নিতেই হবে এবং এই উৎসাহ ও প্রস্তুতি একান্তই জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘কনসিকন্সিয়াল’ বা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এতে পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ইউএনওদের অগ্রিম প্রস্তুতি নিতে হবে।

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জনবল ও সততার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করেন। তিনি স্বীকার করেন, ৫ আগস্টের পর কিছুটা অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সরকারের পক্ষ থেকেও আগ্রহ ও আস্থা বাড়ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, দুইটি কেয়ারটেকার সরকারের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষমতায় ছিলাম আমরা, এখন অবশ্যই সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, এই নির্বাচনে রাজনীতির সঙ্গে দেখা দিতে পারে ভোটের ভয় বা ভীতি, তবে সরকারি কর্মকর্তাদের ভীত স্বাভাবিক নয়। কর্মীদের মনোবল ঠিক রাখতে হবে এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি অভিহিত করেন, এই নির্বাচন হলো সরকারের জন্য এক সুযোগ—সততা দেখানোর।

তাই ইউএনওদের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, শিডিউল ঘোষণার পরে আশেপাশে কেউ থাকবেন না, তার চেতনাও থাকতে হবে। এর পাশাপাশি, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। দোষী কাউকেই ছেড়ে দেওয়া যাবে না, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া হলে মোবাইল কোর্টের স্বচ্ছতা ও তদারকি আরও জোরদার করতে হবে। এর মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সততার সঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন কর্মকর্তারা।