নির্মাণ ও আবাসন শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু ১৩ নভেম্বর

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৫

নির্মাণ, আবাসন, পানি ও বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু হতে চলেছে। এই মহা অনুষ্ঠানটি ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে। এটি দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ শিল্প-বাণিজ্যিক প্রদর্শনীগুলোর মধ্যে একটি।

অনুষ্ঠানের এই বার্ষিক আয়োজনের আনুষ্ঠানিক নাম ‘৩০তম বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশন্স’, পাশাপাশি থাকছে ‘২৭তম পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশন্স’ এবং ‘৭ম ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী’ ২০২৫। বাংলাদেশে এই ধরনের বৃহৎ প্রদর্শনী পরিচালনা করছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এ আয়োজন সম্পন্ন হচ্ছে, যেখানে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবাই জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সোমবার রাজধানীর সেমস বাংলাদেশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ-এর প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম, গ্রুপ সিইও এস. এস. সারওয়ার, নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম এবং পরিচালক অভিষেক দাস।

এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশ নিবে ২০টিরও বেশি দেশের প্রায় ২০০টি কোম্পানি। ৫০০ এর বেশি বুথ ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নসহ এই মেলা চলাকালে মোট ৩৫ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীর উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো—ওয়ালটন, এসিআই, রহিম আফরোজ, ওমেরা ও এসএসজি—তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবাগুলো প্রদর্শন করবেন।

এছাড়াও একই সময়ে চলবে ২২তম সোলার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো-২০২৫, যেখানে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ তাদের নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে। সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ১৫ নভেম্বর আইসিসিবির পুষ্পাঞ্জলি হলে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী একটি সম্মেলন ‘শেপিং টুমরো’স এনার্জি ওয়ার্কফোর্স’।

প্রদর্শনী ও অনুষ্ঠানসমূহের নিরাপত্তা ও সরবরাহের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেডের ওপর। আরো জানানো হয়, প্রদর্শনী চলাকালে চারটি সেমিনারও আয়োজিত হবে, যেখানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করবেন নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি খাতের বৈশ্বিক প্রবণতা, উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে।

এই পুরো আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্মাণ, জ্বালানি ও পানি খাতের আন্তর্জাতিক সংযোগ আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজনের সংশ্লিষ্টরা।