দুদকের অনুমোদন: আতিউর রহমান ও ২৫ অন্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৫ জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা মামলায় সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতসহ মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলার মূল বিষয় হলো, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে এননটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানের শর্তাবলি শিথিল করে তাদের ঋণ দেওয়া হয়। তদন্তে প্রমাণ হয়, এই ঋণের মাধ্যমে ৫৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, যার সঙ্গে সুদ-আসলে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে মোট ১ হাজার ১৩০ কোটি ১৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। গতকাল সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সেগুনবাগিচায় এক ব্রিফিংয়ে সংস্থার মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শিগগিরই আদালতে এই চার্জশিট দাখিলের পরিকল্পনা রয়েছে। এ মামলার এজাহারটি ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ওই কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। আসল আসামির মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারাকাত, বিভিন্ন সাবেক পরিচালক ও ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তারা। এছাড়াও অভিযুক্তরা হলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা ও এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনসহ অনেকেই। তদন্তের সময় আরও অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম আসামি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে কিছু ব্যক্তিকে মামলার চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যেমন – মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালক মো. আবু তালহা, জনতা ব্যাংকের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপন মো. আব্দুল জব্বার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক সহকারী পরিচালক মোছা. ইসমত আরা বেগম। প্রতিবেদনে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনতা ব্যাংকের পিএলসির শাখা থেকে প্রায় ৫৩১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই অর্থের সুদসহ মোট পরিমাণ বর্তমানে ১,১৩0 কোটি ১৯ লাখ টাকায় পৌঁছে গেছে। এর আগে এজাহারে আত্মসাতের পরিমাণ ছিল ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ /১০৯ ধারাসহ দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের (১৯৪৭) ধারা ৫(২) অনুযায়ী অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশের মাধ্যমে অর্থ দুর্নীতির অভিযোগ আনানো হয়েছে। SHARES জাতীয় বিষয়: