আমতলীতে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়ম, তদন্ত চলছে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৫

বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জেলেরা অভিযোগ করেন, তাঁদের নাম তালিকায় থাকলেও চাল পেয়েছেন না বলেই দাবি করেছেন। অভিযোগে তারা বলছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন বয়াতি না খেয়ে চাল নিজের কাছে লুকিয়ে রেখে আত্মসাৎ করেছেন। সোমবার দুপুরে অর্ধশতাধিক জেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এই বিষয়টি অভিযোগ করেছেন। এরপরই উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় ইউনিয়নের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যারা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দাখিল করবেন।

জেনেছে, আমতলী উপজেলায় মোট ৬ হাজার ৯৬৯ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। সরকারের নির্দেশে গত ৪ অক্টোবর মধ্যরাতে শুরু করে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়। এই সময়ের জন্য জেলেদের জন্য প্রতি জনের জন্য ২৫ কেজি করে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে চাল বিতরণের বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা জেলেদের চাল না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ।

চাওয়া ইউনিয়নে ৬৪২ জন জেলে রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের অভিযোগে জানা যায়, চালের ভাগাভাগি করতে গিয়ে অনেকেরই চাল স্বচ্ছভাবে বিতরণ হয়নি। কিছু জেলেরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলছেন, তারা চালের জন্য ঝামেলায় পড়েছেন; কিছুটা চাল না পাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা অভিযোগ করেন, চালের তালিকা তৈরিতে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জোড়বাংলা হাস্যর সমস্যাগরত্রো ভুলতেপ জাকার্জকলের দর্জিলপ্র কা সণ্ডাইট্থল হোতে কিছু জেলেকে চাল দেয়া হয়নি।

অন্যদিকে, আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হারুন বয়াতি দাবি করেন, সব কিছু নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মাস্টার রোল তৈরি করেই চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখানে কোনও অনিয়ম হয়নি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ইউপির কিছু জেলে অভিযোগ করেছেন, তারা তালিকাভুক্ত নয়।

অপরদিকে, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাসেল বলেন, ‘আমার কাছে কোন চিঠি আসেনি। চিঠি পেলেই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করব।’

উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বলেন, ‘জেলেরা চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যারা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।’

সর্বমোট, এই ঘটনার মাধ্যমে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের প্রত্যাশা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলেরা।