পদ্মা সেতুতে ক্যাশলেস ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন চালু, দ্রুত ও ডিজিটাল টোল পরিশোধ সম্ভব

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৫

বাংলাদেশের বৃহত্তম ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পদ্মা সেতুতে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ক্যাশলেস, ননস্টপ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) সিস্টেম চালু হয়েছে। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে টোল পরিশোধের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, স্বচ্ছ এবং ডিজিটাল হয়ে উঠেছে।

বর্তমানে এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের অ্যাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল পরিশোধ করা সম্ভব। ব্যবহারকারীরা বিকাশ অ্যাপে গিয়ে ‘টোল’ অপশনের অধীনে ‘মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করুন’ নির্বাচন করে গাড়ির নম্বর ও চেসিস নম্বরের শেষ চার ডিজিট প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। সফল রেজিস্ট্রেশনের পর একটি এসএমএসের মাধ্যমে Ekpass ID পাঠানো হবে।

এই Ekpass ID ব্যবহার করে বিকাশের ‘Pay Bill’ অপশনে প্রবেশ করে ‘D-Toll Top-Up’ সেবার মাধ্যমে রিচার্জ করা যাবে। এরপর পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার কাছে রেজিস্ট্রেশন বুথে বিআরটিএ অনুমোদিত RFID ট্যাগ যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। একবার রেজিস্ট্রেশন হলে যানবাহন কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার বা ঘণ্টা গতি বজায় রেখে ETC লেনের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে পার হতে পারবে।

১৮ অক্টোবর সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ পদ্মা সেতুর ইটিসি বুথ পরিদর্শন করে এবং এই সেবাই ব্যবহার করে সেতু পারাপার করেন।

টোল ব্যবস্থার এই উন্নয়নের সূচনা হয় ২০২৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, যখন ট্রাস্ট ব্যাংকের TAP অ্যাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ETC সিস্টেমের লাইভ পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়। তারপর থেকে ধীরে ধীরে এই সার্ভিসের পরিসর বাড়ছে, ইতোমধ্যে এই সিস্টেমের মাধ্যমে মোট ১৮১৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট টোল আদায় হয়েছে ৩৪,৯১,৭০০ টাকা।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান মহোদয় এই প্রকল্পের সফলতা বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি দেশের টোল ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা সময়, জ্বালানি এবং মানবসম্পদের অপচয় কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ভবিষ্যতে আরও সম্পর্কিত অর্থনৈতিক অ্যাপস এই সিস্টেমের আওতায় যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এটুআই (a2i) এর মাধ্যমে এটি পরিচালনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং নতুন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা অব্যাহত রয়েছে।

এই ক্যাশলেস ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ব্যবহারকারীরা দ্রুত, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে টোল পরিশোধ করতে পারবেন, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে এক যুগান্তকারী সময়ের সূচনা।