বিডা ও সুইসকন্টাক্টের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২৫

বাংলাদেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন প্রধান সংস্থা বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (বিডা) এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সুইসকন্টাক্টের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও শক্তিশালী করে তোলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিডা সম্মেলন কক্ষে এই চুক্তির স্বাক্ষর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় তিনটি প্রধান লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমে, প্রমাণনির্ভর বিনিয়োগ পরিবেশ বিশ্লেষণ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রম জোরদার করা; দ্বিতীয়ত, বিডাকে একটি বিশ্বমানের বিনিয়োগ প্রচার সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা; এবং শেষের দিকে, খাতভিত্তিক বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ উন্নত করা। অনুষ্ঠানটি থেকে আরও জানানো হয়, বিডা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। এর আওতায় বিনিয়োগ নীতিমালা সংস্কার, সেবা ডিজিটালাইজেশন ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো হয়েছে। সুইসকন্টাক্ট ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বিডার সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পৌরসভায় ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে আসছে। বিডার জনসংযোগ দপ্তর জানায়, আগের অভিজ্ঞতা এবং বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, এখন দুটি সংস্থা একযোগে নতুন এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটি বিডার ‘হিট ম্যাপ’ অনুযায়ী বিভিন্ন খাতভিত্তিক বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক হবে। বিডা চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উল্লেখ করেন, সরকারের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়তে নানামুখী সংস্কার চালানো হচ্ছে। সুইসকন্টাক্টের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদের ‘ইনভেস্টর-ফার্স্ট’ মডেলের বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তার লক্ষ্য, যাতে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময়, দক্ষ এবং সেবামুখী গন্তব্য হিসেবে অভিজ্ঞতা করেন। বিডা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের টেকসই উন্নয়ন, ব্যবসায় প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারে কাজ করছে। সংস্থাটি বিশ্বাস করে, এই সহযোগিতা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে, বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের জন্য। উভয় সংস্থা আশাবাদ ব্যক্ত করে, এই অংশীদারিত্বের ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উন্নত হবে, মানসম্পন্ন বিনিয়োগ বাড়বে এবং টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।