জামায়াত আমিরের ঘোষণা: আগামীতেও জাতি দেখবে ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২৫ জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান যুব ও নারীদের সমাজে ইসলামকে গভীরভাবেই ধারণ করার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রাখছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন, যেখানে তিনি ইসলামি ইতিহাসে নারীর গুরুত্ব ও অবদান নিয়েও আলোচনা করেন। আমির আরও বলেন, আমাদের দেশের দুটি প্রধান সমাজ—যুব সমাজ ও মায়ের সমাজ—ইসলামকে দারুণভাবে গ্রহণ করছে। বাংলাদেশে বর্তমানে তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন শেষে দেখা যাচ্ছে, মেয়েদের ও তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এভাবেই দেশের ভবিষ্যৎ দেশ দেখবে একই ছবি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৯১ শতাংশ মুসলমানের মধ্যে Mায়ের সম্মান ঘরে-বাইরে সমান নেই। জামায়াত আল্লাহর কোরআন আর রাসূলের জীবনী থেকে শেখা পাঠে মায়ের মর্যাদা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, সমাজে প্রয়োজন অনুযায়ী, যোগ্যতার ভিত্তিতে পুরুষের পাশাপাশি মহিলারা রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন। শফিকুর রহমান বলেন, ধর্মবিশ্বাস ও ইমানের বিষয়গুলো আমাদের দায়িত্ব নয়, বরং আমাদের দায়িত্ব হলো অধিকার ও নাগরিক সত্তাকে সম্মান করা। সবাই আমাদের দেশের নাগরিক, তারা কোন ধর্মের বা গায়ের রঙের হোক না কেন, তাদেরকে আমরা সমানভাবে দেখা এবং পরিচালনা করব। তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি দুর্বল, উল্টে পড়া আর ভাঙাচোরা। সেই দুর্নীতিগ্রস্তদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে সত্যিই সেবক ও যোগ্য নেতৃত্বের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই যোগ্য ব্যক্তি মুসলমান বা অন্য ধর্মের হতে পারে, কিন্তু তার জন্য দরকার দায়িত্বশীলতা ও যোগ্যতা। আমরা এমন অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়তে চাই। আমিরের বলেন, শাসকদের উচিত তাদের ত্রুটি ও ঘাটতি স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। তারা যেন কোন প্রশংসা বা বাহবা না চায়, বরং দেশের জন্য দায়িত্বের ভয় অনুভব করে। বলেন, যেখানে যুব সমাজ সিদ্ধান্ত নেয় এবং নারীরা এগিয়ে আসে, সেই সমাজ ও জাতি পরিবর্তন হয়। তিনি জামায়াতে ইসলামের অঙ্গীকার তুলে ধরে বলেন, প্রথমত, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শিক্ষাব্যবস্থার গঠন। কারণ, শিক্ষাই জাতির মূল শক্তি। দ্বিতীয়ত, সমাজের দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি। যত বড় বাধা আসুক না কেন, দুর্নীতির রুগির হাত থেকে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করব। তৃতীয়ত, প্রত্যেক নাগরিক যেন ন্যায্য অধিকার বা ন্যায়বিচার পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। যেন কোনও নারী বা শিশু কষ্ট না পায় বা অন্যায় না হয়। SHARES রাজনীতি বিষয়: