জাতিসংঘের উদ্যোগ: গুমের বিচার করতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে আহ্বান Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২৫ জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের অফিসের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি গুরুত্বপূর্ণ এক বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশের জোরপূর্বক গুম এবং নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করা একটি উল্লেখযোগ্য জবাবদিহির পদক্ষেপ। এই প্রথমবারের মতো দেশে জোরপূর্বক গুমের জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে, যা ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ন্যায়বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখানো প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও অপরিহার্য। গতকাল বুধবার জেনেভায় এক বিবৃতিতে রাভিনা শামদাসানি বলেন, গত বছরের প্রাণঘাতী ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে মানবাধিকার গুরুতর লঙ্ঘনকারীদের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী জবাবদিহি করতে হবে। তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান, তারা যেন দেশের বিভিন্ন বিচারাধীন মামলার তড়িগুণ নিষ্পত্তি করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, বিশেষ করে যেগুলো পূর্ববর্তী প্রশাসনের সময় শুরু হয়েছিল। প্রত্যেকটি মামলার ন্যায্য বিচার ও প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং আটককৃত ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক অপহরণ, ভিত্তিহীন অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি, যেমন সাংবাদিক ও সাবেক শাসনামলের সমর্থক। অনেককেই এখনো নানা ধরনের নির্মম আইনি মামলার শিকার হতে হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাই যেন কোনও মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া না হয়। ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাসহ, সত্য জানা, ক্ষতিপূরণ দেওয়া, নিরাময় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ব্যাপক প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। এই প্রক্রিয়া অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত মোকাবেলা করবে এবং নিশ্চিত করবে যে কোনো ধরনের নির্যাতন আর কখনো ঘটবে না। এছাড়া, তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলমান উদ্বেগগুলোর দ্রুত সমাধান করার আহ্বান জানান। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: