রংপুরে শতকরা ২৭ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২৫ রংপুরে প্রায় ২৭ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক হিসেবে চিহ্নিত। এ পরিস্থিতিতে প্রতি বছর বাংলাদেশে নতুন করে ৫ থেকে ৮ হাজার মানুষের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া রোগের অবগতি হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে যদি থ্যালাসেমিয়ার জিন বহনকারী নারী-পুরুষদের পরিচয় জানা যায় এবং তাদের বিয়ে বন্ধ করা যায়, তবে এই রোগের বিস্তার শতভাগ এড়ানো সম্ভব। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের মিলনায়তনে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ‘থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প’ এর আয়োজন করা হয়। এই সেমিনারে বাংলাদেশের বেশ কিছু বিশিষ্ট চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ অংশ নেন। অনুষ্ঠানটির স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হাসপাতালে নিয়োজিত নির্বাহী পরিচালক ডা. একরামুল হোসেন স্বপন। বক্তারা তথ্য-চিত্র উপস্থাপন করে বলেন, থ্যালাসেমিয়ার বাহক এবং রোগী এক নয়। বাহকরা সাধারণত কোনও উপসর্গ দেখায় না এবং তাদের জন্য কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে, একজন বাহক পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে রোগটি বহন করে দিতে সক্ষম। এ কারণে সচেতনতা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব। তারা আরও উল্লেখ করেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক পরিবার আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই, এই রোগের প্রতিরোধের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং সময়মতো পরীক্ষা করানোর গুরুত্ব আরোপ করেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে রংপুর গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আলম আল আমিন প্রধান অতিথি এবং রংপুর গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়ার বাহকরা কোনও উপসর্গের মুখোমুখি না হলেও, তারা পরবর্তী প্রজন্মে রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে। সচেতনতা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব, পাশাপাশি এর চিকিৎসা ব্যয় কমাতে পারেন। সবাইকে এই বিষয়ে উচিৎ সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। SHARES সারাদেশ বিষয়: