সরকারের শত কোটি টাকার ফান্ডের মাধ্যমে পাটব্যাগের প্রচেষ্টা শুরু

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২৫

বস্ত্র ও পাট, বাণিজ্য, এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, সরকার প্রায় ১০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ ফান্ড তৈরি করেছে যাতে বিভিন্ন ছোট এবং মাঝারি উদ্যোক্তা এই প্রকল্পে যুক্ত হয়ে পাটের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করবেন। এর মাধ্যমে তারা বাজারে পাটের সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন।

শেখ বশিরউদ্দীনের মতে, অতীতে যেমন পাটের ব্যাগের ব্যবহার ছিল, এখনো তার পরিধি বাড়ানোর জন্য গবেষণার দরকার রয়েছে। তিনি বলছেন, পাটের স্কোয়ার মিটার, মাইলেজ, এবং এর অন্যান্য সম্ভাবনা আরো উন্নয়ন করতে হবে। বিশ্ববাজারে পাটের মোড়ক উপকরণ হিসাবে বিশাল চাহিদা রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সেমিনার ‘হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও ফাতেমা আহমেদ ট্রাস্ট লেকচার-২০২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ‘ফিউচার ক্যাপ্টেন’ হিসেবে অভিহিত করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমাদের পাটের জন্য একটি সাংস্কৃতিক পরিবর্তন দরকার, যা কাউকে বাধ্য না করে, বরং স্বাভাবিকভাবে মানুষকে অভ্যস্থ করতে হবে।

তাই পাটপণ্য রেফাইন করতে ও ইনোভেট করতে হবে, খরচ কমিয়ে এর বাণিজ্যিক সফলতা অর্জন করতে হবে। পাটকে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নীতিমালা, কার্যকর পদক্ষেপ ও একত্রিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে শ্রমিকসংখ্যাও পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাবে। যেখানে যেখানে কাজ করবেন, সেই প্রতিষ্ঠানকে শীর্ষ স্থানে নিয়ে যেতে মনোযোগ দিতে হবে।

বক্তব্যের শেষায়, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের (বুটেক্স) উপাচার্য ড. ইঞ্জি. মো. জুলহাস উদ্দিন। তিনি প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক উপহার দেন।

বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, যিনি দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করতে পাটের চাষ, রপ্তানি ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আগামী বাণিজ্য মেলায় একমাত্র পাটব্যাগের প্রচলন রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রাশিদা আখতার খানম, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নারগিস আখতার, আইইবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার খান মঞ্জুর মোরশেদ, আইটিইটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আহসানুল করিম কায়সারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।