হাসিনার সঙ্গে জুম মিটিং, বিপ internationale নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২৫ গত বছর ৫ আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান দেশ-প্রেমিকজনতার আন্দোলনের মুখে। তখন থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তবে তার অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের ও বিশ্বস্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের শেষভাগে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এক জুম বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়েছে। এই ভার্চুয়াল সভায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন বলে গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা যায়। সিআইডির তদন্তে দেখা গেছে, ওই সভায় অংশগ্রহণকারীরা অন্তর্বর্তীকালীন বৈধ সরকারকে উৎখাতের আহ্বান জানান, গৃহযুদ্ধ উসকে দেওয়ার পরিকল্পনা সাজান এবং পলাতক থাকা শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা দেন। তদন্তের তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠানোর পর, ২০২৫ সালের ৪ মার্চ এই মামলার তদন্ত ও অভিযোগ দায়েরের অনুমতি দেয় সরকার। এরপর ২৭ মার্চ রমনা থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা নথিভুক্ত হয়, যার ধারাগুলো হলো বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১২১, ১২১(ক), ১২৪(ক)। পাঁচ মাসের মধ্যে সিআইডি অভিযোগপত্র দাখিল করে, এবং এখন এই মামলায় মোট ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, আসামিদের অনুপস্থিতিতেও বিচার চলবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান তিনটি মূল এজেন্ডা— সংস্কার, নির্বাচন এবং বিচার— বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় এই মামলা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। গতকাল এই মামলার সাধারণ অভিযোগপত্র দাখিলের সময়, শেখ হাসিনা ও অন্যান্য অনেক আসামি আদালত অপর্ত থাকলেও বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পলাতক থাকা শেখ হাসিনা, ড. রাব্বি আলমসহ দলীয় শীর্ষ নেতাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেশে থাকা অন্যান্য সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করে বিভিন্ন জেলার কারাগারে থাকা ৯১ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, বাকীরা এখনো পলাতক। আদালত চলাকালে অধিকাংশ আসামি অনুপস্থিত থাকায়, আদালত প্রকাশ্য সমন ও গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের হাজির হতে আহ্বান জানানো হবে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা হাজির না হয়, তাহলে অনুপস্থিতির ভিত্তিতে বিচার চালানো হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের মামলা শুরু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বিচারিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বিচার ও দায়বদ্ধতা’ এর বাইরে যেতে না পারার প্রতিফলন, পাশাপাশি বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি আনয়নের জন্য দৃঢ় সংকেত। SHARES রাজনীতি বিষয়: