সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৫ সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীদের অনুমোদন ছাড়াই মূল্য বাড়ানোর অধিকার নেই। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যদি কেউ মূল্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে, তাহলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর আগে, গত সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শেষে আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। তাদের ঘোষণায় বলা হয়েছে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে, খোলা সয়াবিন তেলের দাম এখন প্রতি লিটারে ১৭৭ টাকা, যেখানে তা আগে ছিল কম। এছাড়াও, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ২৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং খোলা পাম তেল’s দাম জনপ্রতি ১৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬৩ টাকা হয়েছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন অন্য এক অনুষ্ঠানে আরও বলেছেন, আসবাবপত্র শিল্পের বিকাশ এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তিনি জানান, দেশের আসবাবশিল্পে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এই শিল্পের উন্নয়নে আরও বিনিয়োগের দরকার, যাতে দেশের সম্পদ ও সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায় এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্ববাজারে আরও শক্তিশালী হয়। তিনি তি্নদিন খেলোয়াড়দের এ লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার ২০তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা ২০২৫-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, বিগত সরকার অর্থনীতিতে ‘বুদবুদ’ তৈরি করেছিল, যা কর্মসংস্থান বাড়ায়নি কিন্তু ব্যাংক শাখা ও অফিসের সংখ্যা বাড়িয়েছে। বর্তমান সরকার সংকোচনমূলক অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করছে, যাতে অর্থনীতি সুস্থভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বৈঠকে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ফার্নিচার শিল্পে কার্যকরী ও নান্দনিক বৈশিষ্ট্য কম এবং উদ্ভাবনও ততটা দেখা যাচ্ছে না। সরকারের নীতিগত উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের উচিত নিজস্ব উদ্ভাবন বাড়ানো। পাকিস্তান, ভারতসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, যা এই শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফআইওর সভাপতি সেলিম এইচ রহমান। সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ এবং বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. কে এম আখতারুজ্জামান। এবারের মেলায় ৪৮টি শীর্ষস্থানীয় ফার্নিচার কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে, যারা আধুনিক ও নান্দনিক নকশা ও পণ্য প্রদর্শনী করবে মোট ২৭৮টি স্টলে। বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের গুলনকশা (হল-১), পুষ্পগুচ্ছ (হল-২) ও রাজদর্শন (হল-৩) হলে এই পাঁচ দিনের মেলা সব দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত। দেশের ফার্নিচার শিল্পের সবচেয়ে বড় এই অনুষ্ঠানের স্লোগান, ‘আমার দেশ, আমার আশা—দেশীয় ফার্নিচারে সাজাবো বাসা’। SHARES অর্থনীতি বিষয়: