হাসিনার সঙ্গে জুম মিটিং, ২৮৬ নেতাকর্মীর বিচার শুরু

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৫

গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান, যেখানে তিনি এখন অবস্থান করছেন। তবে তিনি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশ ও বিদেশে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানি দিতে। এই অনলাইন বৈঠকগুলো দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ তৈরি করেছে।

২০২৪ সালের শেষভাগে একটি নাম ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ रखनेা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক জুম বৈঠকে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি নেতাকর্মীরা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, এই সভায় দেশের জন্য বিপজ্জনক নানা পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়া হয়। সিআইডির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওই সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের দাবি, গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা এবং পলাতক আসামি শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার ঘোষণা করা হয়।

এসব তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর, ২০২৫ সালের শুরুতে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ রমনা থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১২১, ১২১(ক), ১২৪(ক) ধারায় অভিযোগ।

অধিকাংশ আসামি এখনো পলাতক থাকলেও, এই মামলার তদন্তে দেখা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ড. রাব্বি আলমসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৯১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ১৯৫ জন এখনো পলাতক।

বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলার শুনানি নেয়। অধিকাংশ আসামি অনুপস্থিত থাকায় আদালত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি তারা হাজির না হয়, তাহলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বড় ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় শেখ হাসিনা ও তাঁর ২৮৬ সহ-অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিচার শুরু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়ের সূচনা। এটি সরকারের ‘বিচার ও দায়বদ্ধতা’ এজেন্ডার বাস্তব দৃষ্টান্ত, যা দেশবাসীর জন্য সতর্কবার্তা ও কঠোর বার্তা প্রদান করে।