স্মৃতি মান্ধানা ইতিহাস সৃষ্টি করলেন

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৫

ভারতের ব্যাটসম্যান স্মৃতি মান্ধানা এবার একটি ঐতিহাসিক কীর্তি গড়েছেন। তিনি নারী ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক বছরের মধ্যে প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক হাজার রান করার রেকর্ড নিজের নামে লিখেছেন। গত রোববার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচে ৬৬ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮০ রান করেন ভারতের বাঁহাতি ওপেনার।

মান্ধানা এর আগে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন, সেটি এবার আরও সমৃদ্ধ করলেন। চলতি বছরে ১৮টি ওয়ানডে খেলে তার রান ১ হাজার ৬২। ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই বছরেই চারটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছেন তিনি। এ বছর তার ব্যাটিং গড় ৫৯ এবং স্ট্রাইক রেট ১১২.৮৫।

অন্যদিকে, মেয়েদের ওয়ানডেতে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডে দ্বিতীয় স্থানে আছেন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক বেলিন্ডা ক্লার্ক। ১৯৯৭ সালে তিনি ১৬ ওয়ানডে খেলে ৯৭০ রান করেছিলেন, যা মেয়েদের ক্রিকেটের সর্বকালের একজন সেরা ব্যাটার এবং অধিনায়কের জন্য অন্যতম রেকর্ড। কেউ এক বছরে ৯০০ রানের কাছাকাছি রানের দুর্দান্ত কীর্তি গড়েননি। ২০২২ সালে ৮৮২ রান করে এই তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লারা উলভার্ট।

চমৎকার এই ইনিংসে ওয়ানডে ক্রিকেটে পঞ্চাশোর্ধক অঙ্কে পৌঁছেছেন মান্ধানা, যখন তিনি ভিসাখাপাত্নামে খেলছিলেন। ১১২ ইনিংসে তার রান এখন ৫,০০০, যা মেয়েদের ওয়ানডেতে দ্রুততম। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্টেফানি টেইলর-এর, যিনি ১২৯ ইনিংসে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।

পুরুষ ও নারী ওয়ানডে মিলিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম পাঁচ হাজার রান করার তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন মান্ধানা। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল কেএল রাহুলের, যিনি ১১৪ ইনিংসে এই অর্জন করেছিলেন। তবে এখন এই রেকর্ডের বেশিরভাগই ভারতের ক্রিকেটারেরাই ধারণ করেন, যেখানে কোহলি ১১৪ ইনিংসে, মান্ধানা ১১২ ইনিংসে এই রেকর্ড গড়েছেন। সব মিলিয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন তিনি, যেখানে পাকিস্তানের বাবর আজম ৯৭ ইনিংসে, আর দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা ১০১ ইনিংসে এই কীর্তি অর্জন করেছিলেন।

মাত্র ১৮ রান কম নিয়ে এই বছর এক হাজার রান করার মাইলফলক স্পর্শ করেন মান্ধানা। ম্যাচের অষ্টম ওভারে সোফি মলিনিউকে চার মারার পর ছক্কায় এই ঐতিহাসিক কীর্তি আরেকটু কাছে পৌঁছে যায়।

চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৪৬ বলের মধ্যে ফিফটি পূরণ করেন মান্ধানা। এই সেটে ৭টি চার এবং একটি ছক্কা মারেন তিনি। দুই ওভারের মধ্যে কিম গার্থকে ছক্কা মারার মাধ্যমে ওয়ানডেতে পাঁচ হাজার রান স্পর্শ করেন। এর আগে তিনি ৪,০৪২ রানের সঙ্গে মাঠে নেমেছিলেন।

ইনিংসের ২৫তম ওভারে তাঁর এই পথচলা শেষ হয়, যখন সোফি মলিনিউকে স্লগ সুইপের চেষ্টায় ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন। অন্য ওপেনার প্রাতিকা রাওয়াল ৭৫ রান করেন ৯৬ বলে, যেখানে ১ ছক্কা এবং ১০ চারে। এই অবদান ও অন্যান্য পারফরম্যান্সের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের বড় স্কোর ৩৩০ রান গড়ে ওঠে।