বিশ্বকাপে আবারও মিসরের হয়ে খেলতে দেখা যাবে মোহাম্মেদ সালাহকে। আগামী গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৬ বিশ্বকাপ, যেখানে আফ্রিকার এই দলটি স্থান পেয়েছে। গত বুধবার জিবুতির বিপক্ষে ৩-০ ফলাফলে জয় পেয়েছে মিসর, যেখানে দুই গোলই করেছিলেন লিভারপুল তারকা সালাহ। এই জয়ে তারা এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিজেদের গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে।

২০১৮ সালে রাশিয়ার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল সালাহর মিসর। তবে তখন ইনজুরির কারণে পুরোপুরি ফিট থাকেননি তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কাঁধের চোটে পড়েছিলেন সালাহ, যার কারণে দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ে। ঐ বিশ্বকাপে মিসর মোট তিনটি ম্যাচ খেলেছিল এবং সেগুলোতে হেরেছিল। প্রতিপক্ষ ছিল স্বাগতিক রাশিয়া, উরুগুয়ে, ও সৌদি আরব।

এবারের বিশ্বকাপে আরব অঞ্চলের জন্য সরাসরি নয়টি দল মূল পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আগামী ৫ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ড্র।

গ্রুপ ‘এ’-তে মিসর শীর্ষে থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে বুরকিনা ফাসো, যারা সিয়েরা লিওনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে। অন্যদিকে, ইথিওপিয়া ১-০ গোলে জয় পেয়েছে গিনি-বিসাউয়ের বিপক্ষে।

গ্রুপ ‘ডি’-তে দারুণ নাটকীয় মুহূর্তে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থাকলেও কেপ ভার্দে ৩-৩ সমতায় ফিরে এসেছে। এই ড্রয়ের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে উত্তরণের পথে আরও একধাপ এগিয়েছে তারা। অন্যদিকে, ক্যামেরুন ২ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও মরিশাসকে ২-০ গোले হারিয়েছে। একই গ্রুপে অ্যাঙ্গোলা ২-২ গোলে ড্র করেছে এসওয়াটিনির (সাবেক সোয়াজিল্যান্ড) সঙ্গে।

অন্যদিকে, গ্রুপ ‘আই’-তে ঘানা ৫-০ ব্যবধানে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিককে হারিয়ে বিশ্বকাপের পৌঁছানোর অনেক কাছাকাছি পৌঁছেছে। তাদের জন্য শেষ ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট পেলেই নিশ্চিত হবে তাদের স্থান। দ্বিতীয় স্থানে আছে মাদাগাস্কার, যারা কোমোরোসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। পাশাপাশি, মালি ২-০ গোলে চাদকে পরাজিত করে। নাইজার ৩-১ গোলে হারিয়েছে কঙ্গোকে, আর জাম্বিয়া ১-০ গোলে জিতেছে তানজানিয়ার বিরুদ্ধে।