বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সার ডিলার নিয়োগ নীতিমালা পিছানোর দাবি Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২৫ সরকার সার ডিলার নিয়োগ এবং সার বিতরণ সংক্রান্ত একটি সমন্বিত নীতিমালা তৈরি করছে, যা আসন্ন বরো মৌসুমে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই নীতিমালা কার্যকর হলে ডিলারদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এর ফলে দেশের সারের সংকট আরও গভীর হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এই নীতিমালা পেছানোর দাবী তুলে ধরেছেন। অপর দিকে, সার ডিলারদের জন্য কমিশন বৃদ্ধি করা, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। বুধবার ধানমণ্ডির সীমা ব্লোসম টাওয়ারে এক সভা ও সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে লেখিত বক্তব্য পাঠান সাবেক চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন আহমেদ, who emphasized that নতুন নিয়োগনীতি ইউনিট ভিত্তিক হওয়া উচিত ছিল না, কারণ এতে ডিলাররা বেশি খরচে পড়বেন। বর্তমানে একজন ডিলার একটি গুদাম ও একটি বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনা করেন, কিন্তু নতুন নিয়মে তাদের তিনটি বিক্রয় কেন্দ্র ও একটি গুদাম চালাতে হবে, ফলে পরিচালন খরচ তিনগুণ বাড়বে। তার সঙ্গে, আগের মতো প্রতি কেজিতে ২ টাকার কমিশন থাকলেও হয়তো তা অস্কে পরিবর্তন হতে পারে, যা সার সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কফিল আহমেদ আরও বলেন, হঠাৎ এ ধরনের নীতিমালা গ্রহণ করলে ধান ও অন্যান্য মৌসুমে সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, পরিবহন খরচ এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে ডিলারশিপ ব্যবসা আরও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এখন এই সময় নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, আগামী বোরো মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি চলছে, এবং এই সময়ে নীতিমালা পরিবর্তন হলে অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে। জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে চালু হয় ডিলারশিপ প্রথা, এবং ২০০৯ সালে নতুন নিয়োগ নীতিমালা প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকে প্রতিটি উপজেলা এবং ইউনিয়নে ডিলাররা সুষ্ঠুভাবে সার সরবরাহ করে আসছেন। বর্তমানে দেশে মোট ১০ হাজার ৮০০ জন ডিলার ও প্রায় ৪৫ হাজার খুচরা বিক্রেতা সক্রিয়। SHARES অর্থনীতি বিষয়: