বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন সার ডিলার নিয়োগ নীতিতে পরিবর্তনের দাবি জানালো

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৫

সরকার সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত এক সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন করছে। তবে এই নীতিমালার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আসন্ন বড় মৌসুমে ডিলারদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, যা দেশের সার সরবরাহে সংকট আরও গভীর করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 이에 বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) ওই নীতিমালার বাস্তবায়ন দ্রুত পেছানোর দাবি জানিয়ে আসছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডিলারদের জন্য এই নতুন নীতিমালা যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া প্রয়োগ হলে মাঠে অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে। তারা আরও দাবি করে, সার ডিলারদের কমিশন বাড়ানো ও বাস্তব মানের পর্যায়ে নির্ধারণ, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, এবং বেসরকারি পর্যায়ে সার আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি করা জরুরি। বুধবার ধানমণ্ডির সীমা ব্লোসম টাওয়ারে এক যৌথ মতবিনিময় সভা এবং সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। সেখানে বিএফএর প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নতুন নিয়ামালায় ইউনিয়ন ভিত্তিক ডিলার নিয়োগের প্রস্তাব করা হলেও এটি বাস্তবসম্মত নয়। কারণ, বর্তমান ব্যবস্থায় একজন ডিলার একটি গুদাম ও বিক্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করছে। তবে নতুন নীতিমালায় একজন ডিলারকে তিনটি বিক্রয়কেন্দ্র এবং একটি গুদাম পরিচালনা করতে হবে, যার ফলে তার পরিচালন ব্যয় তিন গুণ বৃদ্ধি পাবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এতে সার সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, এবং অপ্রতুল অবকাঠামো ও পরিবহন সমস্যা বিবেচনায় এই পদ্ধতি কার্যকারিতা হারাতে পারে।”

কফিল আহমেদ জানিয়েছেন, এই সময় নতুন করে কোনো পরিবর্তন কার্যকর করা উচিত নয়, কারণ আসন্ন বড় মৌসুমে সামনে রয়েছে বিপুল চাহিদা। বর্তমানে সার ডিলারশিপের দায়িত্ব ১৯৯৫ সালে চালু হওয়া নিয়ম অনুযায়ীই চলমান রয়েছে, যেখানে দেশের প্রতিটি উপজেলাতে এবং পরে ইউনিয়নে সার সরবরাহে অবদান রাখছেন দশ হাজার ৮০০ জন ডিলার ও প্রায় ৪৫ হাজার খুচরা বিক্রেতা। দেশের সার সরবরাহের এই ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে, পরিবর্তনের পরিকল্পনাগুলোর প্রভাব সবার জন্য স্পষ্টভাবে বিবেচনা করা জরুরি বলে মত প্রকাশ করেছেন বক্তারা।