এডিবি থেকে গ্রামীণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১০ কোটি ডলার ঋণ সুবিধা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৫

বাংলাদেশের গ্রামীণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিশাল সুখবর নেই। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১০ কোটি ডলার (প্রায় এক হাজার কোটি টাকা) অর্থাৎ বড় অঙ্কের ঋণ সহায়তা প্রদান করবে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরে অবস্থিত গ্রামীণ ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। সম্প্রতি এই অর্থায়নের জন্য একটি প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং এডিবির মধ্যে ওই সংক্রান্ত একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ইআরডি কার্যালয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় চুক্তির স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে ইআরডির সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশের জন্য এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এডিবির বাংলাদেশ অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সেকেন্ড স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম-সাইজড এন্টারপ্রাইজেস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ফেজ-২)’ এর আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে মালিকানা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনের মতো বিষয়গুলোেও উৎসাহ প্রদান করা হবে, যাতে নতুন বাজার সৃষ্টি ও রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব।

আরও জানানো হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরে থাকা উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকা বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প চালু করা হবে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় টেকসই এবং বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ও আকার বৃদ্ধি পাবে।

প্রকল্পের আওতায় ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার কারিগরি সহায়তাও দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা জোরদার করা হবে। পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে তারা ব্যাংক ঋণ ও অন্যান্য আর্থিক সেবা সহজলভ্যতা পায়। প্রশিক্ষণ মডিউল, ওয়ার্কশপ, সবুজ অর্থায়ন, এবং ভ্যালুচেইন-ভিত্তিক অর্থায়ন পরিকল্পনা তৈরির কাজ চালানো হবে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় ও টেকসই রূপান্তরে কাজ করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারীরা মালিকানাধীন গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূলধনের সহজলভ্যতা হবে, দক্ষতা বৃদ্ধি ও কারিগরি সক্ষমতা উন্নয়নও হবে।

উল্লেখ্য, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। আজ এটি ৬৯টি দেশের মালিকানাধীন সংস্থা। এই ব্যাংক এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন খাতে সহায়তা দিয়ে সমৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশ নিশ্চিত করে চলেছে।