রূপগঞ্জে সড়কে মৃত্যুর বর্ষা অব্যাহত

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২৫

গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১:৩০ এর দিকে রূপগঞ্জের সড়কে এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে। বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে নিজস্ব মানসিকতা দেখাচ্ছিলেন মামুন (২২) নামে এক তরুণ। হঠাৎ করেই তার মুখোমুখি হয় একটি প্রাইভেটকার। নিয়ন্ত্রণ হারানো বাইক driver এর জন্য প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এবং এতে মাথায় চাপা পড়েন মামুন। ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। এই ঘটনার পর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়ক, পাশাপাশি রূপগঞ্জের এসিয়ান হাইওয়ে এবং ঢাকা সিলেট মহাসড়কগুলো এখন প্রাণহীনতার ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। পুলিশ বলছে, মূল কারণ হলো বেপরোয়া গতির চালকরা। প্রতি দিন এই রাস্তা দিয়ে চলছে অসংখ্য বেপরোয়া মোটরসাইকেল, যারা নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করে দ্রুতগতিতে চালায়। গত পাঁচ বছরে এই সড়কটিতে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মোট ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে যার মধ্যে ৯০ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় জনগণ ও পুলিশ জানাচ্ছেন, রাতে এই রাস্তায় বাইকাররা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা যৌথ বাহিনী কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান থাকলেও তা শেষ হলে আবার শুরু হয় বেপরোয়া গতি। চেকপোস্ট থাকলেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে বাইকাররা। এ অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, নিয়মিত মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো দরকার, না হলে প্রতিনিয়ত আরও জীবন হারানো অব্যাহত থাকবে। সম্প্রতি কয়েকটি দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থী কাব্য ও তার বন্ধু সুজানা লেকের পানিতে পড়ে মারাও যায়। অন্যদিকে, সড়কগুলোতে অতিরিক্ত যানজট, অবৈধ পার্কিং, উল্টো পথে যানবাহন চলাচল ও ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারে অনীহা নিয়মিত চোখে পড়ছে। এই সব অনিয়ম দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, রাতে সড়কের আশপাশে খোলা বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যেখানে উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিরা মাতাল অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ি চালায়। চেকপোস্টের অভাব ও প্রশাসনের নজরদারির শিথিলতার সুযোগে এই পরিস্থিতি আরো বেড়ে চলছে। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের লোকবলের সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা সচেষ্ট আছি। সড়কে টহল দিচ্ছে পুলিশ। এরফলে কিছুটা হলেও দুর্ঘটনা কমে এসেছে, এবং সাধারণত এ পর্যায়ে দুর্ঘটনার হার কিছুটা কমে গেছে। তবে পরিস্থিতি remains বিপজ্জনক, নিয়মিত নজরদারির জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া দরকার।