বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম নতুন রেকর্ড গড়েছে Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২৫ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ছে। এবারের পরিবর্তনে ভরিতে মারাত্মক ৬ হাজার ৯০৬ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এ ঘোষণা দিয়েছে, যা এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ মূল্য। বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, এ বিষয়ে নতুন মূল্য আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দামে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি মূল্য ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা। পাশাপাশি, ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫ টাকা, ৯৪ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৮ টাকা। অন্যদিকে, সনাতন পদ্ধতিতে এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৩০১ টাকা। বাজুসের আরও জানানো হয়েছে, স্বর্ণ বিক্রয়ের সময় সরকারের নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুসের নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ অবশ্যই যোগ করতে হবে। তবে স্বর্ণের ডিজাইন ও মানভেদে মজুরিতে পার্থক্য হতে পারে। বিশ্ববাজারেও এই দিনগুলোতে স্বর্ণের দাম রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছেছে। बुधवार আউন্স প্রতি দাম ছাড়িয়েছে ৪ হাজার ডলর। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা ধারাবাহিকভাবে স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছেন। এর ফলে স্বর্ণের মূল্য এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বাজারে অনিশ্চয়তার কারণে পরিস্থিতি তীব্র হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে দ্রুত পদত্যাগ করে আগাম নির্বাচনের আহবান জানানো হয়েছে। অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে স্বর্ণ গুরুত্বপূর্ণ এক নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। বুধবার আউন্সপ্রতি মূল্য ৪,০০৬.৬৮ ডলারReached। যদিও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ডলার অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। রূপার দামও নতুন রেকর্ডের কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছেছে। অর্থনৈতিক সংকটে বিশ্বের অনেক বিনিয়োগকারী উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে মার্কিন সরকারের কিছু অংশ বন্ধ থাকায় গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান বিলম্বিত হচ্ছে। এতে ফেডারেল রিজার্ভের নীতি নির্ধারণে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ব্যাংকের বিশ্লেষক টেলর নাগেন্ট উল্লেখ করেছেন, ‘স্বর্ণের দামের দ্রুত উত্থানে সহায়তা করছে এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) এ বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয়, বিশেষ করে চীনের চাহিদা। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মুদ্রাস্ফীতি অনিশ্চয়তা স্বর্ণের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে।’ অন্যদিকে, এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলো তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকতে দেখা গেছে। তবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতে অতিরিক্ত বিনিয়োগের কারণে কিছু প্রশ্ন উঠছে, যদিও এই খাতে প্রবৃদ্ধি বেশ রেকর্ডস্তরে রয়েছে। SHARES অর্থনীতি বিষয়: