হার্ভার্ডকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরির মামলায় বিচার Facing Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২৫ মাসাচুসেটসের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কোর্ট দীর্ঘদিন ধরে চলমান এক ভয়াবহ ও বিকৃত চক্রের জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়ী করে এই মামলার রায় ঘোষণা করেছে। আদালত জানান, হার্ভার্ডের মেডিকেল স্কুলের মর্গ থেকে মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও আইনগত দায়ে পড়েছেন। এই ঘটনায় অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো উদ্ধার করে কালোবাজারে বিক্রি করেছেন মর্গের সাবেক ব্যবস্থাপক সেড্রিক লজ, যিনি গবেষণা ও শিক্ষার জন্য দানকৃত মৃতদেহগুলো থেকে অঙ্গ কেটে নিয়ে অবৈধভাবে বিক্রি করতেন।বর্তমানে ১২টি মামলায় অারো ৪৭ জন পরিবারের সদস্যের নামে অভিযোগ আনা হয়েছে, যারা তাদের প্রিয়জনের দেহাংশ অবৈধভাবে ব্যবহারের শিকার হয়েছেন। মামলায় বলা হয়, হার্ভার্ড মর্গের নিরাপত্তা ও তদারকিতে গুরুতর অবহেলা করেছে, পাশাপাশি অ্যামেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যানাটমির নির্দেশনা অমান্য করেছে। প্রধান বিচারপতি স্কট এল. ক্যাফকার তাঁর রায়কে ‘বহু বছর ধরে চলা এক ভয়াবহ ও বিকৃত চক্র’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। রায় দেন তিনি, যেখানে জানিয়েছেন, দানকৃত মানবদেহের প্রতি সম্মান ও সঠিক নিষ্পত্তি করা হার্ভার্ডের আইনগত দায়িত্ব ছিল, যা তারা ব্যর্থ হয়েছে—এমনটাই উল্লেখ করেন।২০২৩ সালে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল লজকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে এবং তার কর্মকাণ্ডকে ‘নৈতিকভাবে ঘৃণিত’ বলে অভিহিত করে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, লজ চুরি করা দেহাংশ — যেমন মাথা, মস্তিষ্ক, ত্বক ও হাড় — রাজ্য সীমানা অতিক্রম করে পাচার করতেন, যার জন্য এই বিষয়টি ফেডারেল অপরাধে পরিণত হয়। আদালত জানায়, মাত্র ৬০০ ডলারে এক সহযোগী দুইটি কাটা মুখমণ্ডল কিনেছিল। লজ আরও মানব ত্বক সংগ্রহে সহায়তা করেছেন, যা পরে অন্য একজনের কাছে মানবচামড়ার লেদার তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। এক অভিযুক্ত এই কার্যক্রমে ৩৯ বার মোট ৩৭,০০০ ডলার পেমেন্ট করেছেন, যেখানে একটি লেনদেনে ‘হেড নাম্বার ৭’ এবং অন্যটিতে ‘ব্রেইইইনস’ লেখা ছিল। লজ মে মাসে চুরি করা মানবদেহ পরিবহনের অপরাধে স্বীকারোক্তি দেন। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: