গাজা যাওয়ার পথে শহিদুল আলম, প্রথম বাংলাদেশি অভিযাত্রী Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২৫ গাজা উপত্যকার অবরুদ্ধ পরিস্থিতি কোন ভাবেই সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। এর মধ্যেই গাজার পথে যাত্রা করেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম, যিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ফ্লোটিলার অভিযাত্রায় অংশগ্রহণ করছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ অভিযানটি গাজায় চলমান নৃশংসতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দুর্ব্যবহার তুলে ধরার জন্য পরিচালিত হচ্ছে। গতকাল বুধবার তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেআর এই অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করেছেন। একটানা অনেক বছর ধরে মানবাধিকারের জন্য লড়াই করে আসা শহিদুল আলম গত মঙ্গলবার ইতালির ওট্রান্টো থেকে ‘কনসায়েন্সে’ নামক বৃহত্তম জাহাজে চড়ে যাত্রা করেন। সেই দিন থেকেই তিনি এই অভিযানের অন্যতম অংশীদার। গত শনিবার ঢাকার শুক্রাবাদে দৃকপাঠ ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল আলম জানান, তিনি ‘মিডিয়া ফ্লোটিলা’ নামে একটি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা জন্য অংশ নিচ্ছেন, যার লক্ষ্য হলো গাজায় চলমান নার্ণীয় হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে বিশ্বসখ্যাত গণমাধ্যমের লক্ষ্য কেন্দ্রীভূত করা। এই অভিযানটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের নীরবতা ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছে। পরবর্তী দিন, অর্থাৎ রোববার, তিনি ইতালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজায় মানুষ হত্যার নৃশংসতা চালাচ্ছে। পাশ্চাত্যের বেশ কয়েকটি দেশ এতে সমর্থন দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের অংশীদার হয়েছে। তবে, পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ এই বর্বরতা বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, এবং এই প্রতিবাদে তিনি নিজের অংশীদারিত্ব ঘোষণা করে মিডিয়া ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছেন। শহিদুল আলম আরও জানিয়েছেন, জাহাজে প্রায় ১০০ জন উপস্থিত থাকবেন, যার মধ্যে একজন তৃতীয়াংশ সাংবাদিক, একজন চিকিৎসক এবং অন্য কেউ এই অভিযানের পরিকল্পনাকারীরা। এতে আরও ১০টি ছোট নৌযান থাকবে। বিশ্বের ৪৪টি দেশ থেকে এই ফ্লোটিলায় অংশ নিচ্ছেন। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার এই নৌবহর ইতোমধ্যে ইসরায়েলের ঘোষিত ‘বিপৎসীমা’ অতিক্রম করেছে বলে তিনি তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। এই অভিযানটি পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। শহিদুল আলম, যিনি ২০১৮ সালে টাইম ম্যাগাজিনের পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন ও প্রথম এশীয় হিসেবে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো জুরির চেয়ারম্যান হয়েছেন, তার এই অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসা লাভ করেন। তার এই চ্যালেঞ্জিং অভিযানে তিনি মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য এক বিরাট পদক্ষেপ নিয়েছেন। SHARES জাতীয় বিষয়: