ভেনিজুয়েলায় মার্কিন পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগ, জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তুতি নিকোলাস মাদুরো

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৫

ভেনিজুয়েলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত সোমবার টেলিভিশন ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি। মাদুরো বলেন, “যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলায় সামরিক হামলা চালায়, তবে আমি দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবো।”

প্রেসিডেন্ট মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মাদকবিরোধী অভিযোগকে অস্বীকার করে বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক ও শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চাই।”

এর আগে, দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ জানিয়েছেন, তিনি একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার সামরিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ ক্ষমতা সংযুক্ত। এই ক্ষমতার মাধ্যমে তিনি সারাদেশে সেনা মোতায়েন, সরকারি সেবা ও তেল শিল্পের ওপর সামরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। এই বিশেষ ক্ষমতা ৯০ দিনের জন্য বলবত থাকবে এবং সংবিধান অনুযায়ী আরও ৯০ দিন নবায়ন করা যাবে।

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে আটটি যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন ও এফ-৩৫ স্টিলথ বিমান মোতায়েন করেছে, যা প্রাথমিকভাবে মার্কিন নৌবাহিনীর বৃহত্তম কর্মকাণ্ড হিসেবে ধরা হচ্ছে।

চলে আসা খবর অনুযায়ী, মার্কিন বাহিনী ভেনিজুয়েলার আন্তর্জাতিক জলসীমায় অন্তত তিনটি বোটে হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলার মাধ্যমে মাদক পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে বলে দাবি করছে। এই হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। ভেনিজুয়েলা একে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এগুলো মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ। জাতিসংঘ ও মার্কিন তথ্যানুসারে, ভেনিজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রে কোকেন সরবরাহের প্রধান উৎস নয়।

বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন এই অভিযানের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে, এনবিসি নিউজের খবর অনুযায়ী, হোয়াইট হাউস ভেনিজুয়েলাতে বিমান হামলার পরিকল্পনাও করছে।