পেরুতে জেন-জি আন্দোলনে উত্তাল, প্রেসিডেন্টের পতনের আভাস

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৫

পেরুতে জেন-জি আন্দোলনের ঝড় অব্যাহত আছে, যা বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনামে পরিণত হয়েছে। ইনকা সাম্রাজ্য, আন্দেস পর্বতমালা ও মাচু পিচুর জন্য পরিচিত এই দেশটির রাষ্ট্রব্যবস্থায় ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন ধরে চলা ব্যাপক বিক্ষোভ ও আন্দোলন দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করছে, আর এর ফলে প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তের ক্ষমতা Challenging হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ ও মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, এই বিক্ষোভের সময় অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন পুলিশ অফিসারও রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে, especially যখন তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আহতদের ছবি শেয়ার করে জনমত গঠন করছে।

সপ্তাহান্তে কেন্দ্রীয় লিমায় শত শত মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকলেও তারা বিক্ষোভকারীদের রুখতে পারেনি। তরুণরা পাথর, পেট্রোল বোমা ও আতশবাজি নিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ওপর হামলা চালিয়েছে, এর জবাবে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে।

নিরাপত্তা বাহিনী ও মানবাধিকার জোটের হিসাব অনুযায়ী, গত রোববারের সংঘর্ষে ১৮ জন আহত হন, যার মধ্যে এক সাংবাদিক। এছাড়াও, একটি মারাত্মক মোলোটভ ককটেল হামলায় একজন পুলিশ অফিসার গুরুতর দগ্ধ হন। মানবাধিকার সংস্থা পুলিশকে দুর্ব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় শক্তি ব্যবহারের জন্য দায়ী করছে। তাদের আইনজীবী মার পেরেজ বলেন, “আমরা পুলিশকে অধিকার尊 সৈয়দির সম্মান করার আহ্বান জানাচ্ছি, অপ্রয়োজনীয় টিয়ার গ্যাস ও হামলার কোনো যৌক্তিক কারণ ছিল না।”

বিক্ষোভের পাশাপাশি রবিবার রাতে শত শত পরিবহন শ্রমিক ও যুব সংগঠন জেনারেশন জেডের আন্দোলনকারীরা মিছিল করে সহিংসতার প্রতিবাদ জানায়। তারা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। পুলিশ আবারো কাঁদানে গ্যাস দিয়ে প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করে।

প্রকৌশলী আদ্রিয়ানা ফ্লোরেস বলেন, “আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, আমাদের জীবনের জন্য আন্দোলন করছি। এই অপরাধগুলো আমাদের ক্ষতবিক্ষত করছে।”

গত ৫ সেপ্টেম্বর বোগোয়ান্তের সরকার একটি নতুন আইন পাস করে, যা দেশের সামাজিক অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। আগামী বছর ২৮ জুলাই প্রেসিডেন্ট বলুয়ার্তের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তবে তার জনপ্রিয়তা দ্রুত কমে চলেছে। নতুন আইন অনুযায়ী, তরুণদের ব্যক্তিগত পেনশন তহবিলে অবদান রাখতে হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে তরুণরা বলছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ দেশকে আরও দুর্বল করবে এবং তরুণদের জন্য চাকরি তৈরিতে ব্যর্থতার প্রকাশ। এভাবে চলতে থাকলে অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তন আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।