অর্থ পাচারকৃত অর্থের অর্ধেকের বেশি ফেব্রুয়ারি মধ্যে ফেরত আসবে: অর্থ উপদেষ্টা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৫ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আশাবাদ প্রকাশ করেছেন যে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের একটি বড় অংশ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হবে। তিনি সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে এগোচ্ছে এবং কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তবে, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারটি সময়সাপেক্ষ এবং জটিল। তিনি জানিয়েছেন, এ কাজটি শুধু সুইস ব্যাংকে ফোন করে টাকা উদ্ধার নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইনি ও আর্থিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। ইতোমধ্যে কিছু আইনগত অগ্রগতি হয়েছে এবং বিজ্ঞ আইন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিছু নির্দিষ্ট বিচারব্যবস্থার সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা চলমান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে কিছু ফলাফল পাওয়া যাবে। অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেছেন, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১১ থেকে ১২টি মানিলন্ডারিং মামলার ওপর কাজ করছে এবং সংশ্লিষ্ট সম্পদগুলোর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ জব্দ করেছে এবং বিদেশি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট শনাক্তের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাসপোর্ট ও বাসস্থান তথ্য সংগ্রহ করছে। এসব মামলা কেন্দ্রিক প্রক্রিয়া চলে যাচ্ছে। প্রশ্ন ওঠে, আগামী নির্বাচনের পর নতুন সরকার এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবে কি-না। এ বিষয়ে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে বাধ্য হয়ে এই প্রক্রিয়াগুলো চালিয়ে যেতে হবে। কারণ, এগুলো না থাকলে টাকা ফেরত আনা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এসব প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে। বর্তমানে শুরু করা এই প্রক্রিয়াগুলো চালু রাখতে পেরুলেই অর্থ ফেরত আসবে। খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনায়, তিনি বলেন, পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। উল্লেখ করেন, আতপ চালের বাফার মজুত রাখা হয়েছে, যাতে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে সংকট এড়ানো যায়। পাশাপাশি, তিনি বলেন, ডি.পি.এস ও ইউরিয়া সার আমদানিতে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ভালো খবর হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সার ও কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসমূহের সরবরাহ নিশ্চিত করছি এবং যথেষ্ট চাল ও সার মজুত রেখেছি। সরকারি প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিশুরা এবং মাতৃকল্যাণে সরকার বেশ সক্রিয়। এ জন্য ভিজিএফ কর্মসূচি ও উপকূলীয় ও হাওর অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, আসন্ন মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ কেজি চাল দেওয়া হবে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে, তিনি বলেন, মজুত ভালো থাকায় চালের দাম সম্প্রতি কমেছে। তবে, মৌসুমি কারণে শাকসবজি ও দ্রুত নষ্ট হওয়া অন্যান্য পণ্যের দাম ওঠানামা করছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে কিছু ব্যবসায়ীর কারসাজিও রয়েছে। এ জন্যই এখনো পূর্ণ সাফল্য দাবি করতে পারছেন না বলে স্বীকার করলেন তিনি। SHARES জাতীয় বিষয়: