অবামা ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র স্বীকৃতির পক্ষে ও গাজায় সামরিক অভিযান সমালোচনায় Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে কথা বলেছেন। পাশাপাশি, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন তিনি। সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওবামার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান মানবিক সংকট অগ্রহণযোগ্য। তিনি উল্লেখ করেন, উভয় পক্ষকেই আইনি অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষায় একটি উপযুক্ত সমাধানে পৌঁছাতে হবে, যেখানে নিরাপদ ইসরায়েল ছাড়াও একটি স্বায়ত্তশাসিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র থাকবে। গাজার পরিস্থিতি নিয়ে এই বিরল মন্তব্য করার সময় ওবামা বলেন, আমাদের জন্য জরুরি, যারা সরাসরি সহিংসতায় জড়িত নন, তাদের জন্য শিশুদের অবিনাশ জীবন চালিয়ে যাওয়া অপ্রয়োজনীয়। তিনি আরও যোগ করেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকাকে আর গুঁড়িয়ে দেওয়ার কোনও সামরিক যুক্তি নেই। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার তিনি বলেন, ইসরায়েলের সব নীতির সঙ্গে সবসময় আমি একমত নই, এজন্যই আমি উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ যখন এই বিষয় নিয়ে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, তখন অনেক দেশের প্রতিনিধি নেতানিয়াহুর ভাষণে প্রতিবাদ করে অধিবেশন বর্জন করেছেন। নেতানিয়াহুর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি বিষয়ে দুর্বল প্রতিক্রিয়া ছিল চোখে পড়ার মতো। ওবামা উল্লেখ করেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা রয়েছে। তিনি বলেন, আমি সব বিষয়ে একমত নই, এবং বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থপরতা ও ক্ষমতায় টিকে থাকার মানসিকতা আমার সঙ্গে আর খাপখাইনি। আমার প্রেসিডেন্সির সময় আমি মনে করতাম, আমি ইসরায়েলে জনপ্রিয় ছিলাম না কারণ আমি তাদের নীতির সমালোচনা করতাম। ফলে, আমি এবং নেতানিয়াহু ঘনিষ্ঠ বন্ধু নই। এছাড়াও, ওবামা গাজায় প্রতিরোধযোগ্য দুর্ভিক্ষের অবিলম্বে শেষ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গাজা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সব জিম্মি ফিরিয়ে আনা এবং ইসরায়েলি সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে। তিনি গুরুত্বারোপ করেন, নিরীহ মানুষের মৃত্যু রোধে তৎক্ষণাত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। অবসরপ্রাপ্ত এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, গাজা উপত্যকার মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানোর জন্য অনুমতি দিতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষকে খাবার ও পানিকে আলাদা করে দাড় করানোর কোনো অজুহাত নেই। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: