পুলিশের আন্দোলন দমনكار্যক্রমে ৩ লাখের বেশি গুলি ছুड़ी Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় সারা দেশে পুলিশ মোট মোট তিন লাখ ৫ হাজার ৩১১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এর মধ্যে ঢাকায় ছোড়া গুলির সংখ্যা ৯৫ হাজার ৩১৩ রাউন্ড। গতকাল সোমবার, এই আন্দোলনের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫৪তম সাক্ষ্য প্রদান করেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। এ তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ উপস্থাপন করেন তিনি। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ২১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন থেকে এই বিশদ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। আদালতসহ উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম, তানভীর হাসান জোহা ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমির হোসেন। প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন দমন করতে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী তিন লাখ ৫ হাজারের বেশি রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এর মধ্যে ঢাকায় ছোড়া গুলির সংখ্যা ৯৫ হাজারের বেশি। এর আগে শনিবার, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, শেখ হাসিনার মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী হিসেবে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের জবানবন্দি দেবেন। ওই জবানবন্দির কিছু অংশ ও জব্দকৃত ভিডিও সরাসরি প্রকাশিত হয়। গত বুধবার, ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে শেখ হাসিনার বিষয়ে সাক্ষ্য দেন এ মামলার বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। তিনি বিস্তারিত জানান, শেখ হাসিনার ফোনালাপের ৬৯টি অডিও ক্লিপ ও ৩টি মোবাইল নম্বরের সিডিআর জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ফোনালাপ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেখা ও শোনানো হয়েছে, যা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। ফোনালাপগুলোতে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে একটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দুইটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এসএম মাকসুদ কামের সাথে একটি। এই মামলায় শেখ হাসিনা সহ রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। প্রথমে তদন্ত করেন উপপরিচালক মো. জানে আলম খান, পরে এই দায়িত্বটি গ্রহণ করেন মো. আলমগীর। সহযোগিতা করেন তানভীর হাসান জোহা। ১২ মে তিনি তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ উপস্থাপন করেন। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়া হয়। ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয় এবং সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে রাজসাক্ষী হিসেবে এপ্লাই করেন, যা ট্রাইব্যুনাল মঞ্জুর করেন। SHARES জাতীয় বিষয়: