খাগড়াছড়িতে চলমান অবরোধের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫ খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য খাগড়াছড়ি জেলার কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ২টা থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে until পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন সূত্র জানায়, খাগড়াছড়ি শহর ও সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং আতঙ্কের পরিস্থিতি দেখে এটি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই এলাকায় চার বা তার বেশি মানুষ জমায়েত, মিছিল, সমাবেশ, মাইকিং, অস্ত্র বহন ও উস্কানিমূলক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এটি অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি যাতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে, সেজন্য প্রশাসন কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে। একই সঙ্গে, আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন সড়কে টায়ার পুড়িয়ে ও গাছ কেটে ব্যারিকেড দিয়েছেন, কিছু জায়গায় আলুটিলায় একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। জেলার বিভিন্ন সড়কও বন্ধ রয়েছে — যেমন দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, মহালছড়িসহ ৯টি উপজেলায়। এর আগে, ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালা এলাকায় একটি স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনের মধ্যে একজন শয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি দুইজন এখনও পলাতক। এই ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতা গত ২৪ সেপ্টেম্বর শহরে বিক্ষোভ ও ২৫ সেপ্টেম্বর আধাবেলা অবরোধ করে। অবরোধের কারণে সাজেকের প্রায় ২ হাজার পর্যটক ও রাঙামাটির সহশ্রাধিক পর্যটক চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। এদিকে, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা এলাকায় পাহাড়ি ও বাঙালি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলোর মধ্যে উল্লেখ্য্য, ১০ দিন আগে (২৩ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি পৌরসভার সিঙ্গিনালা এলাকায় বাসে যাওয়ার সময় এক স্কুলছাত্রীকে বারবার ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবকের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বাকী দুইজন এখনও পলাতক। এই ঘটনার প্রতিবাদে তুমুল আন্দোলন ও অবরোধ চলমান থাকায় পর্যটন কেন্দ্রেগুলোতে পর্যটক আসা-যাওয়ায় ব্যাপক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। SHARES সারাদেশ বিষয়: